পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বহু আলোচিত দ্রুত বিচার আইন সংশোধন করে শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাস করার সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
গতকাল রোববার কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। বিরোধী দলের ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে সরকারের বিরুদ্ধে। কমিটির সভাপতি টিপু মুন্সীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, আবুল কালাম আজাদ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং ফখরুল ইমাম। গত ২২ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন- ২০১৮ সংসদে উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। পরে বিলটি সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে অপরাধের শাস্তি পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে সাত বছর করা হয়েছে। এছাড়া এই আদালতে বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন প্রথম শ্রেণীর হাকিম নিয়োগের ক্ষমতা সরকারকে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম এমপি সাংবাদিকদের বলেন, বিলটি যেভাবে এসেছে সেভাবেই কমিটি পাসের সুপারিশ করেছে। বিলে ২০০২ সালের আইনের ৪(১) ধারা সংশোধন করে শাস্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই ধারায় আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ এর জন্য এতদিন সর্বনিম্ন দুই বছর এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ডের পাশাপাশি অর্থদন্ডের বিধান ছিল। সংশোধিত আইনের খসড়ায় তা বাড়িয়ে সর্বনিম্ন দুই বছর ও সর্বোচ্চ সাত বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ’ করলে দ্রুত বিচার আইনে তার বিচার হবে। যেমন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বা বেআইনি বল প্রয়োগ করে কোনো ব্যক্তি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা, সাহায্য বা অন্য কোনো নামে অর্থ বা মালামাল দাবি বা আদায় বা আদায়ের চেষ্টা করলে তা এ আইনে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বিদ্যমান আইনের ৮(২) ধারায় বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে আদালত গঠিত হবে। সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা হয়, সরকার বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে উক্ত আদালতের বিচারক নিযুক্ত করিবে। ২০০২ সালে দ্রুত বিচার আইন জারি করে দুই বছরের জন্য তা কার্যকর করা হয়। এরপর বেশ কয়েক দফা ওই আইনের মেয়াদ বাড়ায় সরকার।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল এই আইনটি সংশোধন করে ৫ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ায় বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মাধ্যমে গঠিত বর্তমান দশম সংসদে পাস হওয়া প্রথম বিল ছিল সেটি। এবার সংসদে তোলা বিলে মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলা হয়নি। ফলে আইনটি ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনের মত অপরাধের বিচার দ্রুততার সঙ্গে করতে এ আইন করার কথা বলা হলেও যখন যারা বিরোধী দলে ছিল, তারাই এ আইনকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।