মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক ঃ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে চীন ও ইউরোপ। ট্রাম্প এ চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও গত শুক্রবার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে ‘ধরিত্রী’কে বাঁচাতে একজোট হওয়ার অঙ্গীকার করেছেন চীন ও ইউরোপীয় নেতারা। অন্যদের মধ্যে রাশিয়া, ভারত এবং মেক্সিকোও অবিলম্বে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে অটল থাকার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেছে। যদিও ক্রেমলিনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া এ চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব না। ফ্রান্স বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের যেসব রাজ্য ও শহর জলবায়ু ইস্যুতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রয়েছে তাদের সঙ্গে কাজ করে যাবে প্যারিস’।
ওদিকে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ-ক্লদে জাঙ্কার বলেছেন, ‘জ্বালানি রূপান্তরের ক্ষেত্রে উল্টো পথে হাঁটা যাবে না। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকেও পিছু হটা যাবে না’। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলও চুক্তির পক্ষে মত দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের সৃষ্টির সুরক্ষায় এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এ গ্রহের ভবিষ্যৎ যাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাদের প্রত্যেককেই আমি আমাদের ধরিত্রী মা’য়ের জন্য এ পথে অগ্রসর হতে বলব।’
শুক্রবার চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কাকিয়াংয়ের সঙ্গে শীর্ষ ইইউ কর্মকর্তাদের দীর্ঘপ্রতিক্ষীত ব্রাসেলস বৈঠকেও আলোচনা চলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জলবায়ু বিষয়ক সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। এ বৈঠকও চীন এবং ইইউ দুপক্ষেরই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ থাকা এবং এর পূর্ণ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়েই শেষ হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে এক বক্তৃতায় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরিয়ে নেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৮৮টি দেশের ঐকমত্যে ২০১৫ সালে প্যারিসে ওই জলবায়ু চুক্তি হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এমন পর্যায়ে বেঁধে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে তা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়। গত বছর নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই প্যারিস চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন ট্রাম্প। তার ভাষ্য, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের তেল ও কয়লা শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ক্ষমতায় আসার পরপরই চুক্তি থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারের মতই এখন ‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতিতে এগুচ্ছেন বলে ভক্ত-সমর্থকদের আশ্বস্ত করেন তিনি। কিন্তু তার এ পদক্ষেপ অনেক দেশেরই সমালোচনার মুখে পড়েছে।
সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও আইসল্যান্ডের মত নরডিক দেশগুলোও ট্রাম্পের ঘোষণার সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ট্রাম্পের ঘোষণা কার্বন নিঃসরণ কমাতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ও বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হতাশা বয়ে আনবে। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।