Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আলিগড়

প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

উত্তর প্রদেশে অবস্থিত আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে এই কাহিনী। এই কাহিনী ড. শ্রীনিবাস রামচন্দ্র সিরাস নামে মারাঠি ভাষার অধ্যাপককে ঘিরে। তার পদ হল রিডার এবং আধুনিক ভারতীয় ভাষা বিভাগের চেয়ার। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকের একটি দিনে। তাকে আরেকজন পুরুষ রিকশাচালকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আবিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ চাক্ষুষ প্রমাণিত হয়। বিষয়টি ভাইস চ্যান্সেলর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চরম অসদাচরণের অভিযোগে তার সব পদ কেড়ে নিয়ে তাকে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আর তাকে বরখাস্ত করার বিষয়গুলো গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার পায়। শ্রীনিবাস যে বাসায় ভাড়া থাকত সেখান থেকে তাকে জোর করে বের করে দেয়া হয়। পরে জানা যায় রিকশাচালক আর তাকে যে আপত্তিকর অবস্থায় ধরার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় আর এক টিভি চ্যানেল থেকেই পরিকল্পনা করা হয়।  আরেকজনের পরামর্শে সে আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েকমাসের প্রক্রিয়ার পর শ্রীনিবাস জয়ী হয়। এলাহাবাদের আদালতে শেষ পর্যন্ত তার পক্ষে রায় দেয়া হয়। তাকে তার পদে পুনর্বহাল করা এবং অবসর নেয়ার আগে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস করা ব্যবস্থা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ