নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : গতকাল সকালেই সন্ত্রাসী হামলায় আবারও রক্তাক্ত হয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যানচেস্টারে হামলার কয়েক দিনের মাথায়ই লন্ডনে হামলা পুরো ইংল্যান্ড জুড়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। আর এরই মাঝে মাঠের লড়াইয়ে পতিত ক্রিকেট দুনিয়ার চীরপ্রতিদ্ব›দ্বী ভারত-পাকিস্তান। হামলার প্রভাব কিছুটা হলেও পড়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবচেয়ে আকাক্সিক্ষত এবং হাই ভোল্টেজ এই ম্যচটিতে। হামলার পর স্বাভাবিকভাবেই জনমনে ভর করে আতঙ্ক। এমন অবস্থায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে দর্শক সমাগম কেমন হবে, তা নিয়েও ছিল সংশয়। ২৫০০০ ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট স্টেডিয়ামটির এই ম্যাচে সবগুলো টিকেট সবার আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু টিকেট কাটা দর্শকরা সশরীরে মাঠে উপস্থিত থাকার দুঃসাহস করবেন কি না, সেটি নিয়েও ছিল প্রশ্ন। তবে সকল অশঙ্কাকে উড়িয়ে জয় হয়েছে ক্রিকেটেরই। বার্মিংহামের এজবাস্টন স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। দর্শকরাও এসেছেন সাজিয়ে গুছিয়ে। পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ বলে কথা! দুই দেশের ক্রিকেটারদেরই নয়, বিশ্বময় ক্রিকেটানুরাগীদেরই প্রার্থণা ছিল- বৃষ্টি যেন ভাসিয়ে না দেয় ম্যাচটি! দু’বার চেষ্টা করেও সে লক্ষ্যে সফল না হলেও কিছুটা বিঘœ ঘটেছে আসল পাক-ভার লড়াইয়ে।
ম্যাচের শুরুতেই একবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বৃষ্টি। সেটিও খুব একটা ক্ষতি করতে পারেনি ক্রিকেটীয় লড়াইয়ের। মাত্র ২ ওভার কাটা পড়েছে। আর তাতেই প্রথম ইনিংসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ উইকেটে ৩১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় ভারত। রোহিত শর্মা (৯১), শিখর ধাওয়ান (৬৮), বিরাট কোহলি (৮১*) ও যুবরাজ সিংয়ের (৫৩*) হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩১৯ রান তুলেছে ভারত। জয়ের জন্য সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তানের লক্ষ্য ৩২০।
কিন্তু কী দুর্ভাগ্য পাকিস্তানের। বৃষ্টির কারণে কার্টেল ওভারের ম্যাচ। দু’দল খেলবে ৪৮ ওভার করে। এই ৪৮ ওভারে ভারত সংগ্রহ করেছে ৩১৯ রান। নিয়ম অনুযায়ী জয়ের জন্য পাকিস্তানকে করতে হবে ৩২০ রান; কিন্তু কী আশ্চর্য ক্রিকেটে প্রচলতি বৃষ্টি আইন পাকিস্তানকে করতে হতো ৩২৪ রান, সেই ৪৮ ওভারেই! তবে ব্যাটিংয়ে নামার ৫ম ওভারে আবারও নামে বৃষ্টি। কিছুক্ষণ পর আবারও যখন খেলা শুরু হয়, তখন পাকিস্তানের সামনে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়া হয় ৪১ ওভারে ২৮৯ রান। সেটিও করতে ব্যর্থ শরফরাজের দল। মাত্র ৩৩. ৪ ওভারে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ডার্ক-ওয়ার্থ লুইস মেথডে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীদের ১২৪ রানে হারিয়ে শুরু হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন।
ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে যাদব, পান্ডিয়া, জাদেজাদের ক্ষুরধার বোলিংয়ের বীপরিতে কেবল ফিফটির দেখা পেয়েছেন একজন- ওপেনার আজহার আলী। তাও থেমেছে কাটায় কাটায় ৫০ করে। এরপর হাফিজের ৩৩ রানের ইনিংসটি বাদ দিলে আর কেউই লড়াইয়ে সামিল হতে পারেনি। অভিজ্ঞ সোয়েব আর অধিনায়ক শরফরাজ ফেরেন সমান ১৫ রান করে যোগ করে। আর সঙ্গীর অভাবে ইনিংসটা আর দীর্ঘায়িত করতে পারেন নি সাদাব, অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে। তাতে বিশাল হার এড়াতে পারেনি পাকিস্তান।
আইসিসির টুর্ণামেন্ট মানেই পরিস্কার ফেবারিট ভারত। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যেমন কখনোই জিতেনি পাকিস্তান। ৬ মুখোমুখির সবগুলোতেই জিতেছে ভারত। টি-২০ ম্যাচের চারটিতে জিতেছে ভারত এবং ড্র হয়েছে একটি। শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের সাফল্য এতদিন ছিল বেশী। এর আগে হওয়া তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেছিল পাকিস্তান। ২০০৪ সালে বার্মিংহামের এজবাস্টনে দুই দলের লড়াইয়ে জিতেছিল পাকিস্তান। ভারতের ২০০ রান টপকে গিয়েছিল পাকিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে। অবশ্য সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জিতেছিল ভারত। বৃষ্টি¯œাত ওই ম্যাচে ডাক ওয়ার্থ মেথডে ভারত জিতেছিল ৮ উইকেটে। ২০০৯ সালে হাই স্কোরিং ম্যাচে পাকিস্তান ৫৪ রানে হারিয়েছিল ভারতকে। সব মিলিয়ে দুই দলের পরিসংখ্যানেও বেশ এগিয়ে পাকিস্তান। ১২৮ ম্যাচের ৭২টি জিতেছে সিন্ধু পাড়ের দেশটি। বিপরীতে ভারত জিতেছে ৫২টি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।