Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

জুভেন্টাসের কান্না, রিয়ালের ইতিহাস

| প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : আনন্দ, হাসি, কান্না আর ইতিহাস মিলেমিশে একাকার হল পরশু কার্ডিফের প্রিন্সিপালিটি মিলেনিয়াম স্টেডিয়ামে। একদিকে রেকর্ড ১২তম ইউরোপ সেরার খেতাব অর্জনের উল্লাস, অন্যদিকে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মত ফাইনাল হারের কান্না। একদিকে প্রথম দল হিসেবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা ধরের রাখার গৌরব, আরেক দিকে শেষ তিন বছরে দুই-দুটি ফাইনাল হারের মাতম। একদিকে অনন্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জয়গান, অন্যদিকে জিয়ানলুইজি বুফনের আরো একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু। নিশ্চয় বুঝেছেন, সেই প্রথম দলটি ইউরোপের সবচেয়ে ঐতিয্যবাহী দল রিয়াল মাদ্রিদ আর দ্বিতীয়টি ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস।
আরো একটি ফাইনাল, আরো একবার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরও জ্বলে ওঠা। যে আগুনে জ্বলে পুড়ে ছারখার জুভা শিবির। সেরা আক্রমণভাগ আর সেরা রক্ষণভাগের লড়াইটাও হয়ে গেল একেবারেই একপেশে। পুরো আসরে মাত্র তিন গোল খাওয়া জুভেন্টাসকেও তাই এক ম্যাচেই হজম করতে হলো ৪ গোল!
আর তাতে আরো একবার স্বপ্ন চুর হলো জিয়ানলুইজি বুফনের। ২৫ বছরের দীর্ঘ্য ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপজয়ী ইতালিয়ান কিংবদন্তি গোলরক্ষকের একমাত্র আক্ষেপ হয় থাকল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফিটাই। এ নিয়ে তি-তিনবার (২০০৩,২০১৫ ও ২০১৭) ৩৯ বছর বয়সী ‘তরুণের’ সাথে উপহাস করল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ভাগ্য। শেষ তিন বছরে দুইবার।
এমন হারের কারণটাও অকপটে ব্যাখ্যা বরেছেন বুফন, ‘এমন ম্যাচ জিততে যে ধরনের মনোভাব দরকার, যে মান দরকার, সেটা দেখিয়েই ম্যাচ জিতেছে রিয়াল। জয়টা রিয়ালের মত দলেরই প্রাপ্য।’ দ্বিতীয়ার্ধে তার দলের বদলে যাওয়ার কারণটাও জানেন না তিনি, ‘প্রথমার্ধে আমরা খুব ভালো খেলেছি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খুব বাজে খেললাম। কেন, কিভাবে এমনটি হলো তা আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না, আমি বলতে পারব না।’
প্রথমার্ধের আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচ মোটেও ৪-১ স্কোরলাইনের আভাস দিচ্ছিল না। ২০তম মিনেটে রোনালদোর গোলে পিছিয়ে পড়া জুভেন্টাসকে ৭ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত ওভারহেড কিকের মাধ্যমে সমতায় ফেরান মানজুকিচ। প্রথমার্ধটা শেষ হয় আরো দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের আভাস দিয়েই। কিন্তু বিরতির পর যেন মাঠে নামল ভিন্ন দুই দল। একদিকে জিনেদিন জিদানের মন্ত্রে নবদীক্ষিত ও আরো শানিত রিয়াল, অপরদিকে সাদা-কালো থেকে ধুসরে পরিণত হওয়া মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির জুভেন্টাস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে রিয়াল। ৬১তম মিনিটে কাসিমিরোর দুরপাল্লার আচমকা শটে করা গোলটি ম্যাচের চিত্র আরো পাল্টে দেয়। ‘ওল্ড লেডি’ খ্যাত জুভেন্টাস তখন হয়তো ধরেই নিয়েছিল ম্যাচ এখানেই শেষ। সেই সুযোগে ৩ মিনিট বাদেই জুভার কান্নার বেগ বাড়িয়ে দেয় লুকা মড্রিচের দুর্দান্ত ক্রস থেকে করা রোনালদোর দ্বিতীয় গোলটি। রিয়ালের ‘ডুইডেসিমাও (দ্বাদশ) নিশ্চিত হয় এই গোলের মাধ্যমেই। ক্যারিয়ারে এটি ছিল পর্তুগিজ তারকার ৬০০তম গোল, ইউরোপিয়ান ফুটবলে ১০৫তম। এই গোলের মাধ্যমে লিওনেল মেসিকে টপকে বনে যান এবারের আসরের সর্বোচ্চ (১২টি) গোলদাতাও। জুভা ভক্তদের ভগ্নহৃদয়ে শেষ আঘাত হনেন মার্কো অ্যাসেনসিও। ৮৪তম মিনিটে হুয়ান কাদরাদোর দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে জুভেন্টাস তখন ১০ জনের দল।



 

Show all comments
  • Rasel ৫ জুন, ২০১৭, ৫:০৩ এএম says : 0
    Thanks {E}
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ