Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিজেপি সরাসরি কিছু না বললেও গরু ইস্যুতে নমনীয় মোদি সরকার

| প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : কয়েক দিনের কিছু সরকারি ঘোষণা ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যে মনে করা হচ্ছে, গবাদিপশু কেনাবেচার ব্যাপারে ২৬ মে’র বিধিনিষেধ ও শর্তে দেশব্যাপী অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে কিছুটা হলেও নমনীয় অবস্থানে এসেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তবে পশ্চিমবাংলার রাজধানী কলকাতার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাজ্যের অভিজ্ঞমহলের ধারণা, সৃষ্ট রাজনৈতিক এ বিতর্কের সমাধান ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার এত সরলভাবে করতে মোটেই আগ্রহী নয়। নরেন্দ্র মোদি বা বিজেপি এ বিষয়ে সরাসরি এখনও কিছু না বলেও ওই দলের সহায়ক ও সমর্থক গোষ্ঠী এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো গরু রক্ষা করার জন্য নতুন কিছু ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে। রাজস্থান সরকারের দাবি, গরুকে জাতীয় পশু হিসেবে এখনই ঘোষণা করা হোক। পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশু কেনাবেচা কেন্দ্রের প্রস্তাবিত নিয়মগুলোর বিরোধিতা করেছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এতে রাজ্যে যারা গরুর গোশত খান, তাদের অসুবিধা হবে। রাজ্যে মুসলিম স¤প্রদায়ের মানুষ বর্তমানে মোট জনসংখ্যার কমবেশি এক-তৃতীয়াংশ। মুখ্যমন্ত্রীর আরেকটা আপত্তি, কেন্দ্র এই ঘোষণা করেছে রমজান মাসে। তার বক্তব্য, এসব বিষয়ে দেশের সংবিধানে রাজ্যগুলোর ক্ষমতা পরিষ্কার করে বলা আছে। কেন্দ্রের প্রয়োজনে এ ব্যাপারে আইনের সাহায্য নেয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, মমতা আগেই কেরালা বামপন্থী সরকারের পক্ষে দেশের বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলোর কাছে আবেদন করেন, একযোগে কেন্দ্রের নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হোক। কর্নাটক, তামিল নাড়ু, ও বাংলা ছাড়াও উত্তর পূর্বে মিজোরাম ও মেঘালয়েও কেন্দ্র বিরোধী প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মূলত মুসলিম ও খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর পক্ষে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, পশুহত্যার জন্য কোনও গবাদিপশু কেনাবেচা চলবে না। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ