পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিদিন ৫০-৬০ হাজার অতিরিক্ত যাত্রী বহন : ১২ জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট
নূরুল ইসলাম : অন্যান্য বারের তুলনায় আসন্ন ঈদে বেশি যাত্রী বহন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এজন্য চালানো হবে কমপক্ষে ১৬টি ঈদ স্পেশাল ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে অতিরিক্ত কোচ। গড়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ হাজার বেশি যাত্রী বহন করবে রেলওয়ে। এজন্য সব ধরণের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। ঈদে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে রেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১২ জুন থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে চলবে ১৬ জুন পর্যন্ত। ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৯ জুন থেকে। জানতে চাইলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. হাবিবুর রহমান গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, এ বিষয়ে দু’একদিনের মধ্যেই সভা হবে। সভা শেষে মন্ত্রী মহোদয় ব্রিফ করবেন।
রেলওয়ের যাত্রী সেবার মান বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীদের চাপ অনেকাংশে বেড়েছে। রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর জন্য রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছেন। ইতিমধ্যে ট্রেনের বহরে যুক্ত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে আমদানিকৃত অত্যাধুনিক কোচ। এর সাথে বেড়েছে ট্রেনের সংখ্যাও। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, শুধু নতুন কোচের কারনে সারাদেশের ট্রেনে ২০ হাজার আসন বেড়েছে। একই সাথে পুরনো কোচগুলোও মেরামত করে চলাচলের উপযোগি করা হয়েছে। ঈদ এলে ট্রেনের উপর চাপ বাড়ে। সে কারণে দুই মাস আগে থেকেই ১৭৬টি বগী মেরামত করা হয়েছে। আসন্ন ঈদে স্পেশাল ট্রেনে কোচগুলো যুক্ত করা হবে।
গত ঈদগুলোর তুলনায় এবার আরও বেশি বেশি যাত্রীবহন, যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে জানিয়ে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. হাবিবুর রহমান জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, মন্ত্রী মহোদয় সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরাও সেভাবেই কাজ করছি। তিনি জানান, গত কয়েক বছরে রেলওয়েতে ২৭০টি যাত্রীবাহী বগি সংযুক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ২৮ জোড়া ট্রেন উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ঈদের চেয়ে এবারের ঈদে প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার যাত্রী বেশি বহন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, উভয় অঞ্চলে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেননগুলো নতুন বগি যুক্ত হওয়ায় ঈদ যাত্রীদের ভ্রমণও আরামদায়ক হবে।
সূত্র জানায়, রেলের পশ্চিমাঞ্চলে মোট ১৭০টি ব্রডগেজ নতুন বগি চলাচল করে। এসব বগিতে আগের চেয়ে ১১ হাজার আসন বেশি আছে। অন্যদিকে, পূর্বাঞ্চলে (ঢাকা-চট্টগ্রাম) নতুন দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়েছে।এ দুটি ট্রেন ছাড়াও প্রতিটি ট্রেনেই বগির ও কোচের সংখ্যা বেড়েছে। ঈদে অতিরিক্ত কোচ যুক্ত করে সবগুলো ট্রেনেই আসন সংখ্যা বাড়ানো হবে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, আগামী ১২ জুন থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। চলবে ২৫ জুন পর্যন্ত। ১২ জুন দেয়া হবে ২১ জুন ভ্রমণের টিকেট। একইভাবে ১৩ জুন দেয়া হবে ২২ জুনের, ১৪ জুন ২৩ জুনের, ১৫ জুন দেয়া হবে ২৪ জুনের এবং ১৬ জুন দেয়া হবে ২৫ জুনের টিকিট। ২৯ টি রোযা হলে ২৬ তারিখ পবিত্র ঈদ উল ফিতর। উক্ত দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না। ফিরতি টিকিটি বিক্রি শুরু হবে ১৯ জুন। ১৯ জুন দেয়া হবে, ২৮ জুন (বুধবার) যাত্রার টিকেট, একইভাবে ২০জুন দেয়া হবে ২৯ জুন, ২১ জুন দেয়া হবে ৩০ জুন, ২২জুন দেয়া হবে ১ জুলাই, ২৩ জুন দেয়া হবে ২ জুলাই যাত্রার টিকেট। যদি ২৬ তারিখের পরিবর্তে আগামী ২৭ জুন পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়। সেক্ষেত্রে ২৫ জুন, সন্ধ্যা হতে আন্তঃনগর টিকিট কাউন্টার হতে ২৬ জুন যাত্রার টিকেট সংগ্রহ করা যাবে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, নির্ধিারিত দিনে সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ঈদের দিনে (ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল ব্যতীত) কোন ট্রেন চলাচল করবে না। ঈদের আগে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের ্রসাপ্তাহিক বন্ধগ্ধ বাতিল থাকবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।