Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দ. চীন সাগরে সামরিকায়ন মানবে না যুক্তরাষ্ট্র : ম্যাট্টিস

বিতর্কিত দ্বীপে সামরিক উদ্যোগের বিরোধিতা করে মার্কিন প্রশাসন

| প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের সামরিকীকরণ প্রচেষ্টা মেনে নেবে না ওয়াশিংটন। সিঙ্গাপুরে গতকাল শনিবার একটি নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। ম্যাট্টিস বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের যেখানে চীন কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করেছে সেখানে সামরিকীকরণের প্রচেষ্টা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। খবরে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরের কৃত্রিম দ্বীপে চীনের সামরিক কর্মকান্ড সহ্য করবে না যুক্তরাষ্ট্র। এমন উদ্যোগ এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস। গতকাল শনিবার সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, বিতর্কিত নৌসীমা ও দ্বীপে সামরিক উদ্যোগের বিরোধিতা করে মার্কিন প্রশাসন। আমরা বর্তমান অবস্থার কোনো রকমের একতরফা ও জবরদস্তিমূলক পরিবর্তন মেনে নেব না। চীনা সামরিকায়নের বিরোধিতা করলেও চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রশংসা করেন ম্যাট্টিস। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজকে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত করার পথে চীনের প্রতিশ্রুতি ও উদ্যোগ প্রশংসাযোগ্য। আমাদের বিশ্বাস চীনা প্রশাসন উত্তর কোরিয়াকে কৌশলগত মিত্র নয় বরং দায় হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। তার ভাষায়, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে চীনের অবস্থানের প্রশংসা করার অর্থ এটা নয় যে দক্ষিণ চীন সাগরে দেশটির সামরিকায়ন আমরা মেনে নেব। পিয়ংইয়ংকে ঠেকাতে চীনের সঙ্গে কাজ করার কারণ এটা শুধু আমাদের একার সমস্যা নয়, এটা চীনেরও সমস্যা। এসময় তিনি উত্তর কোরিয়াকে বর্তমান পৃথিবীর জন্য স্পষ্ট হুমকি’ বলে মন্তব্য করেন। ম্যাট্টিস এমন এক সময় এ মন্তব্য করলেন, যার মাত্র ১ দিন আগে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। আর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপে যৌথভাবে কাজ করেছে মার্কিন ও চীনা প্রশাসন। এদিকে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়েও দুদেশের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ নৌসীমাকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে বেইজিং। ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়াসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি দেশও এ নৌসীমার পুরোটা কিংবা আংশিক নিজেদের বলে দাবি করে। এ নিয়ে আঞ্চলিক বিরোধ রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের নৌসীমা বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম একটি রুট। মূলত পণ্য ও জ্বালানি পরিবহন করা হয় এ রুটে। তাই এখানে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। দুপক্ষই এখানে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জানান দিতে আগ্রহী। বিবিসি,রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ