মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার উপর্যুপরি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির ওপর আরোপিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার পরিধি আরো বাড়ানো হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের যৌথ সম্মতিতে গ্রহণ করা প্রস্তাব অনুযায়ী গত শুক্রবার নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ানো হয়। খবরে বলা হয়, চীন-আমেরিকার ঐকমত্যে উ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া›য় সেখানকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি শেষে এশিয়ার এই পরমাণু শক্তি-সম্পন্ন দেশটির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে পাঁচ সপ্তাহ ধরে আলোচনার পর নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবটি প্রস্তুত করা হয়। প্রস্তাবটি ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করে। গৃহীত প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়ার আরো কয়েকটি কোম্পানি ও ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে উত্তর কোরিয়ার কোরিও ব্যাংক ও কোরিয়ান পিপলস আর্মির কৌশলগত রকেট বাহিনী এবং দেশটির ১৪ জন কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কালোতালিকাভুক্ত এসব কোম্পানি ও কর্মকর্তাদের বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত কোনো দেশের কোনো কোম্পানি বা কোনো ব্যক্তি এদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ওই কর্মকর্তাদের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানও রয়েছেন। এসব কর্মকর্তারা ২০০৬ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক দেশটির কালোতালিকাভুক্ত কর্মকর্তাদের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হবেন এবং তারা জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে ভ্রমণের অনুমতি পাবেন না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ২০০৬ সালে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর দেশটির পাঁচটি পারমাণবিক পরীক্ষা ও দুটি দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর নিষেধাজ্ঞার আওতা আরো বৃদ্ধি করে নিরাপত্তা পরিষদ। এরপরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিজেদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী অব্যাহত রাখে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থেই তাদের এই কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার দরকার বলে দাবি করছে দেশটি। গত মাসে দেশটি তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘ পাল্লার তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে। ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায় পারমাণবিক অস্ত্র বসিয়ে তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূলভূখন্ডে আঘাত হানার সামর্থ্য অর্জন করার লক্ষ্যেই এসব পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার এসব কর্মসূচী থামানোর জন্য তার একমাত্র ঘনিষ্ঠ মিত্র ও প্রতিবেশী চীনকে চাপ দিয়ে আসছিল ট্রাম্প প্রশাসন। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।