পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ভোর রাত সাড়ে ৩টায় ওই ট্রেনের একটি লাগেজ ভ্যানে (মালবাহী বগি) এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই বগিতে থাকা জুতা ও প্লাস্টিক সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ে কেবিন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ২টা ৪৫মিনিটে আখাউড়া স্টেশনের ৪ নম্বর প্লাটফরমে যাত্রা বিরতি করে। এসময় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী ৪টি ট্রেন পাস দেওয়ায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়তে বিলম্ব হয়। রাতে সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ ট্রেনের একটি মালবাহী বগি থেকে প্রথমে ধোঁয়া ও পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ট্রেনযাত্রীরা চিৎকার শুরু করলে রেলকর্মীর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সাড়ে ৪টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ওই বগিতে থাকা জুতা ও প্লাস্টিকের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর এ এম মফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুস সাত্তার বলেন, ট্রেনের বগিতে রক্ষিত প্লাস্টিক ও রাবারের জুতা, কাপড়সহ বিভিন্ন মালামাল ছিল। ট্রেনটির দরজা বাইরে থেকে লাগানো থাকায় ধারণা করা হচ্ছে ভেতরেই আগুনের সূত্রপাত।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের কেবিন স্টেশন মাস্টার মো: হাফিজুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ওই বগিটি রেখে শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টায় ট্রেনটি নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট মো: খলিলুর রহমান জানান, রাত পোনে তিনটায় ট্রেনটি যাত্রা বিরতি করার পর মালবাহি বগি থেকে আখাউড়ার কিছু মালামাল নামানো হয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই বগি থেকে আগুণ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (বাণিজ্য) কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেন নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।