পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টাও : রমজান মাস শুরু হওয়ার প্রায় দুই মাস আগে থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। রমজান মাস শুরুর পর প্রায় সব পণ্যের দাম সামান্য বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম মানভেদে কেজি প্রতি ৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া ভারতীয় রসুন ৬০ টাকা বেড়ে গতকালের বাজারে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হওয়া চীনের রসুন গতকালের বাজারে ৪০০-৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত সপ্তাহের মতো ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি রসুন।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্য তালিকায় দেশি রসুনের দাম ১৩০ টাকা এবং আমদানি করা রসুনের দাম মানভেদে ৩৩০-৩৫০ টাকা দেখানো হচ্ছে। এছাড়া চিনির দাম দেখানো হচ্ছে কেজি প্রতি ৭৫ টাকা। তবে গত সপ্তাহে ৭২-৭৩ টাকা দরে বিক্রি হওয়া চিনি গতকালের বাজারে ৭৫-৭৮ টাকা দরে বিক্রি করতেম দেখা গেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত এপ্রিলের মাধামাঝি সময়ে বেড়ে যাওয়া দামেই বাজারে সব ধরনের মুদি পণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ছোলা ৯৫ টাকা; মুগ ডাল ১৩৫ টাকা; ভারতীয় মুগ ডাল ১২৫ টাকা; মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা; ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে লবণের দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাঁচ লিটারের ভোজ্য তেলের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০-৫১০ টাকা; প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০-১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দারুচিনি ৩৬০ টাকা; জিরা ৪৫০ টাকা; শুকনা মরিচ ২০০ টাকা; লবঙ্গ ১৫০০ টাকা; এলাচ ১৬০০ টাকা; চীনের আদা ১২০ টাকা এবং ক্যারালা আদা ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারও বাড়তি দামে অনেকটা স্থিতিশীল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মোটা স্বর্ণা চাল কেজি প্রতি ৪৫ টাকা, পারিজা চাল ৪৪-৪৫ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৬ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫২-৫৪ টাকা, বিআর ২৮ ৪৮-৫০ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫৪ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫৬ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮-৫০ টাকা, বাসমতি ৫৬ টাকা, কাটারিভোগ ৭৬-৭৮ টাকা, হাস্কি নাজির চাল ৪১ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০ (পুরাতন), নতুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি টমেটো কেজি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শশা ৪৫-৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, আলু ১৮-২০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ টাকা, প্রতিটি ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৪৫ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক আঁটি প্রতি ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা, প্রতিটি ইলিশ ৮০০-১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে; প্রতি কেজি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৬০০ টাকা।
এছাড়া হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৫৮০-৬০০ টাকা; হাড়সহ গরুর মাংস ৪৯০-৫২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৩০-৭৫০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এছাড়া লেয়ার মুরগি ১৮০, দেশি মুরগি ৪০০, পাকিস্থানি লাল মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।