নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিলো চট্টগ্রাম আবাহনী। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তারা ১-০ গোলে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠলো। চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করে মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম।
ম্যাচের শুরু থেকে গোলের জন্য মরিয়া চট্টগ্রাম আবাহনী ৮ মিনিটেই এগিয়ে যায়। এসময় মিডফিল্ডার মামুনুলের দারুণ এক গোলে লিড পায় দলটি। আফেজ ওলাওলে ওলাডিপোর কাট ব্যাকে রহমতগঞ্জের ডি বক্সের বাইরে থেকে মামুনুলের নেয়া মাটি কামড়ানো শটটি জালে জড়ালে এগিয়ে যায় চট্টগ্রামের আকাশী-হলুদরা (১-০)। তবে এগিয়ে যাওয়ার পর যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম আবাহনী। পিছিয়ে পরে আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় রহমতগঞ্জ। তারা একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে তুলে চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণদূর্গকে। ম্যাচের ১৯ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে রহমতগঞ্জ ফরোয়ার্ড রাশেদুল ইসলাম শুভ শট নিলে বল পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ৫১ মিনিটে ডি-বক্সের একটু বাইরে মামুনুল ফাউলের শিকার হন। জাহিদ হোসেনের ফ্রি কিক ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়। ৫৪ মিনিটে ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজকে তুলে নিয়ে মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে মাঠে নামান চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ। ৫৮ মিনিটে গোছালো আক্রমণ থেকে সুযোগ পেয়েও তা নষ্ট করে রহমতগঞ্জ। ইসমাইল বাঙ্গুরার ডিফেন্স চেরা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান দিক থেকে শাহরান হাওলাদারের আড়াআড়ি ক্রসের নাগাল পেলেও শট নিতে পারেননি শুভ। সমতায় ফিরতে মরিয়া রহমতগঞ্জ প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে। তবে দারুণ ভাবে দলকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল। ৬৭ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে ফয়সালের শট সোজা নেহালের গøাভসে জমা পড়ে। একটু পর বাঙ্গুরার শট ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে ফেরানো এই গোলরক্ষক। পরে শাহরানের শটও ধরে ফেলেন তিনি। ৮৬ মিনিটে সমতায় ফেরার সেরা সুযোগটি নষ্ট করে রহমতগঞ্জ। এসময় ডি-বক্সের উপর থেকে হেলালের জোরালো শট নেহাল ফিরিয়ে দিলেও শুভর পায়ে যায় বল। কিন্তু শুভ শট নিতে দেরি করায় গোলের দেখা পায় না রহমতগঞ্জ। ফলে শেষ পর্যন্ত হারের গøানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।