বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গলাচিপা(পটুয়াখালী)উপজেল সংবাদদাতা : গলাচিপাা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের প্রান গজালিয়া খাল কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হয়ে এখন তা এলাকাবাসীর দূর্ভেগের কারণ। কচুরিপানায় পরিপূর্ণ পানি পচে যাওয়ায় খালের দুই পাড়ের ৪ হাজার মানুষ গোসল এমনকি গরু মহিস গোসল করাতে পারে না । পানি দুষিত হয়ে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে। এছাড়া দুর্গন্ধে মানুষ বসবাস করতে পারে না।
গজালিয়া ইউনিয়নবাসী জানায়,গলাচিপা নদী থেকে গজালিয়া খালটি উৎপত্তি হয়ে গজালিয়া ও ডাকুয়া ইউনিয়ন দুইটির সীমানা নির্ধারন করে গজালিয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উত্তর ইছাদি পর্যন্ত বির্স্তীত। প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ খালটির কমপক্ষে ২০টি শাখা খাল রয়েছে। এক সময় চিকনিকান্দি.গজালিয়া ইউনিয়নের মানুষের জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এটি। পটুয়াখালী থেকে চর মোন্তাজগামী লঞ্চ এ খাল দিয়ে চলাচল করত। শাখা খাল গুলোর মাধ্যমে গজালিয়া ইউনিয়নের ৭-৮টি গ্রামের অভ্যন্তরে পানি প্রবেশ করায় কৃষক বিনা সেচে রবি শস্য অবাদ করত। আস্তে আস্তে কচুরিপানায় খালটিকে গ্রাস করে ফেলায় ছোট নৌকাও চলাচল করতে পারে না । শাখা খালগুলো বাধ দিয়ে ভরাট করায় চাষাবাদের জমিতে পানি প্রবেশ করতে পারে না। পানির অভাবে কৃষকরা রবিশস্য চাষ করতে পারছে না। অপরদিকে বর্ষা মৌসুমে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য ও গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী মো. ইউসুফ জানান, গজালিয়া খালের ওপর প্রতক্ষ্যভাবে হরিদেবপুর, গজালিয়া,বাহের গজালিয়া ও ইছাদি গ্রামের কয়েক হাজার লোকের জীবন-জীবিকা জড়িত। কিন্তু কচুরিপানায় ভরে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে। গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালিদুল ইসলাম স্বপন বলেন, গজালিয়া খালের পানির উপর গজালিয়া ইউনিয়নের কৃষি নির্ভশীল। যখন খালে পানি প্রবাহ ছিল এখানে রবি শস্যসহ সব ধরনের কৃষি হত। খালটি কচুরিপানা মুক্ত করে অবাধে পানি প্রবাহের জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।