Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষিকাজ করে কলাপাড়ার রাহিমা জয় করেছে দারিদ্র্য

| প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কৃষি কাজ করে রাহিমা বেগমের দারিদ্রকে জয়ী করেছে। এক সময় সংসারে অভাব লেগেই থাকত। এখন সে কৃষি কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের মিলন তালুকদারের স্ত্রী রাহিমা ইচ্ছা শক্তি ও নিরলশ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দারিদ্রতাকে জয় করে আলোর পথে এসেছেন। তার কৃষি কাজের সফলতা দেখে আশেপাশের গ্রামের নারীরাও এখন কৃষি কাজের উপর ঝুঁকে পড়েছেন।
রাহিমা জানান, ২০১৪ সালে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থ্যা “বাংলাদেশ ডেভোলপমেন্ট সোসাইটি” (বিডিএস) কলাপাড়া শাখায় ভর্তি হয়ে প্রথমে ২০ হাজার টাকা ঋন গ্রহন করে। সেই ঋনের টাকা দিয়ে বিভিন্ন রকমের  রবি শস্য ফলাতে শুরু করেন। এর মধ্যে যেমন লালশাক, ঝিঙ্গা, করলা, ডেরশসহ তার ক্ষেতের বিভিন্ন সবজি বাজারে বিক্রি করে ধাপেধাপে ঋনের টাকা পরিশোধ করে। একই সঙ্গে প্রকল্প উন্নত প্রযুক্তিতে পরিচালনার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করে এবং লোক বল নিয়োগ করা হয়।
সে আরো জানান, বর্তমানে বিডিএস থেকে ৪র্থ বার ৫০ হাজার টাকা ঋন গ্রহন করা হয়েছে। ওই টাকা দিয়ে ফের সে বেশী জমি নিয়ে সবজি চাষ শুরু করে। তার ক্ষেতের বার মাসই সবজি উৎপাদিত হয় বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান।
রাহিমা বেগমের স্বামী মিলন তালুকদার জানান, সবজি বিক্রি করে তাদের পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সবজি বিক্রির অর্থ দিয়ে সে বিশ কাঠা জমি ক্রয় করেছে। এছাড়া তার বিডিএস সংস্থায় সঞ্চয়সহ ব্যাংকেও ডিপিএস রয়েছে।
মোসাঃ রাহিমা বেগমের সাফল্য সম্পর্কে বিডিএস কলাপাড়ার শাখা ব্যবস্থাপক মো.মিজানুর রহমান বলেন, কঠোর পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। কৃষি কাজ করে সে দারিদ্রকে জয়ী করে এখন একজন স্বাবলম্বী নারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ