পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো বড় দলের বয়কটের নির্বাচন আর কেউ চায় না। এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সঙ্গে সকল রাজননৈতিক দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের উদ্যোগ রাখতে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
গতকাল বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাত করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে আলোচনা করতে এসে সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে গেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। একই সঙ্গে সিইসি ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত একমত হয়েছেন বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর নয়। নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আবদুল্লাহ বলেন, আমরা দুই পক্ষই একমত হয়েছি যে ১৫ ফেব্রæয়ারি ও ৫ জানুয়ারি মতো নির্বাচন আর নয়। আর যেন এ রকম না হয়, সে জন্যই সবার চেষ্টা থাকবে। মার্শা বার্নিকাট ও ইউএসএআইডির একটি প্রতিনিধিদল বুধবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে নির্বাচন কমিশনে আসেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনার পর সোয়া দুইটার দিকে বের হন মার্শা। এ সময় তিনি জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
মার্শা বার্নিকাট বলেন, সবার অংশগ্রহণ শুধু নির্বাচনের দিন হলে হবে না। প্রার্থীরা যেন সুষ্ঠুভাবে নিবন্ধন করতে পারেন, প্রচারণা চালাতে পারেন এবং ভোটের দিন সাধারণ মানুষ যেন এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন যে তাঁর ভোটটি গণনা হবে। বাংলাদেশের অনেক ভালো ও কম ভালো নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। আমি সম্মানিত প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলতে চাই, তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন যেন সব ধরনের প্রশ্নের ঊর্ধ্বে হয়, সেটাই তিনি চান।
সচিব আবদুল্লাহ বলেন, বিগত নির্বাচনে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি, হরতাল ও সহিংসতা প্রত্যক্ষ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে, এমন ঘটনা আর ঘটবে না। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারির নির্বাচনের ৪ মাসের মাথায় ১২ জুন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইতিহাস বাংলাদেশের রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সচিব বলেন, সবাইকে মাঠে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আলোচনায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে। বড় দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে আলোচনায় উঠে এসেছে। এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সুষ্ঠুৃ ভোটের জন্য সব ধরনের সহায়তা করে আসছে। তা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, ইভিএম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান হচ্ছে-কমিশন সবার মতামত নিয়ে যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে আশা করে তারা। পাশাপাশি রোডম্যাপ ধরে কাজ এগোনোর কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।