Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচন কমিশন ও যুক্তরাষ্ট্রের একমত ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর নয়

| প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো বড় দলের বয়কটের নির্বাচন আর কেউ চায় না। এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সঙ্গে সকল রাজননৈতিক দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের উদ্যোগ রাখতে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
গতকাল বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাত করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে আলোচনা করতে এসে সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে গেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। একই সঙ্গে সিইসি ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত একমত হয়েছেন বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর নয়। নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আবদুল্লাহ বলেন, আমরা দুই পক্ষই একমত হয়েছি যে ১৫ ফেব্রæয়ারি ও ৫ জানুয়ারি মতো নির্বাচন আর নয়। আর যেন এ রকম না হয়, সে জন্যই সবার চেষ্টা থাকবে। মার্শা বার্নিকাট ও ইউএসএআইডির একটি প্রতিনিধিদল বুধবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে নির্বাচন কমিশনে আসেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনার পর সোয়া দুইটার দিকে বের হন মার্শা। এ সময় তিনি জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
মার্শা বার্নিকাট বলেন, সবার অংশগ্রহণ শুধু নির্বাচনের দিন হলে হবে না। প্রার্থীরা যেন সুষ্ঠুভাবে নিবন্ধন করতে পারেন, প্রচারণা চালাতে পারেন এবং ভোটের দিন সাধারণ মানুষ যেন এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন যে তাঁর ভোটটি গণনা হবে। বাংলাদেশের অনেক ভালো ও কম ভালো নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। আমি সম্মানিত প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলতে চাই, তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন যেন সব ধরনের প্রশ্নের ঊর্ধ্বে হয়, সেটাই তিনি চান।
সচিব আবদুল্লাহ বলেন, বিগত নির্বাচনে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি, হরতাল ও সহিংসতা প্রত্যক্ষ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে, এমন ঘটনা আর ঘটবে না। ১৯৯৬ সালের ১৫  ফেব্রæয়ারির নির্বাচনের ৪ মাসের মাথায় ১২ জুন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইতিহাস বাংলাদেশের রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সচিব বলেন, সবাইকে মাঠে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আলোচনায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে। বড় দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে আলোচনায় উঠে এসেছে। এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সুষ্ঠুৃ ভোটের জন্য সব ধরনের সহায়তা করে আসছে। তা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, ইভিএম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান হচ্ছে-কমিশন সবার মতামত নিয়ে যেন সঠিক সিদ্ধান্ত  নেবে আশা করে তারা। পাশাপাশি রোডম্যাপ ধরে কাজ এগোনোর কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে।



 

Show all comments
  • abu faiz bulbul ১ জুন, ২০১৭, ১২:৫৭ পিএম says : 0
    we also support this system.
    Total Reply(0) Reply
  • Rahman Sadman ১ জুন, ২০১৭, ১:৩৪ পিএম says : 1
    তাহলে এখন কেন,বিএনপিকে কোন সভা সমাবেশ করতে দেয়া হয় না---? এ ব্যাপারে কিছু বলবেন কি ম্যাডাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২ জুন, ২০১৭, ১০:২৫ এএম says : 1
    আমি বার্নিকাট মার্শার ও সিইসি কে এম নূরল হুদার সাথে বৈঠকের কারন নিয়ে এটা ব্যাখা দেয়ে বলেছিলাম এই বৈঠকটা যায়েজ। আজ এই সংবাদের উপর বলতে চাই আমেরিকার বা বিদেশী দাতা দেশের উপদেশ দেশের স্বার্থে আসলে গ্রহণ করব আবার বিপক্ষে গেলে কখনও গ্রহণ করব না এটাই সত্য। সিইসি হুদা সাহেব একজন মুক্তিযুদ্ধা তিনি কখনও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কোন সিদ্ধান্ত নিবেনা এটাই আমি এবং দেশবাসী আশা করছি। দাতাদেশ যতবড় ক্ষমতাশালী হউক না কেন তারা তাদের স্বার্থে সিইসির মাধ্যমে আমাদেরকে দিয়ে যে কোন কাজ করিয়ে নিতে না পারে এটাই আমি আশা করব সিইসির কাছ থেকে। ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে একটা বড় দল অংশ নেয়নি সেটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত প্রমানিত হয়েছে তাই তাদের কারনেই নির্বাচন প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছে এর জন্য সরকারকে বা নির্বাচন কমিশনকে দোষারুপ করাটা ঠিক নয় এটা আমি মনে করি। নির্বাচন কমিশন তার ঘোষিত নির্বাচন চালিয়ে যাবে এটাই তাদের দায়িত্ব। এখন যদি কোন রাজনৈতিক দল যোগ না দেয়াতে একটা অঘটন ঘটে সেজন্য আমরা কেন নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করতে যাব??? এটা একটা প্রশ্ন নয় কি??? এবারও একই তামাশা করার জন্য আইনের বহির্ভূত ভাবে নিরপেক্ষ সরকারের দাবীতে পথে নেমেছে, এটাকি সহ্য করা যায়??? এখন ধরে নিন বিএনপি তাদের এই অযুক্তি দাবী নিয়ে নির্বাচন বর্জন করে তার মাশুল কি জনগণ দিবে??? না জনগণ এগিয়ে যাবে এটাকে সামালদেয়ার দায়িত্ব হবে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের এখানে বিদেশী হস্তক্ষেপ আমি পছন্দ করব না, আমি মনে করি দেশবাসীও বিদেশীদের হস্তক্ষেপ মানবে না এটাই সত্য। দেশে একটা শক্তিশালী বিরুধী দলের দরকার তাই বলে কি ........ দলকে আমরা প্রশ্রয় দিতে পারি??? না এটা জাতী মেনে নিবে না বা মানতেও পারেনা। আমরা অপেক্ষা করব সেই বিরুধী দলের জন্য যারা হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। তাই আমি বলতে চাই আমাদেরকে শক্ত হয়ে বিএনপিকে কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেয়া ঠিক হবে না। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে দল ভক্ত নয় দেশ ভক্ত করেন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ