Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজকে বিএনপি নিয়ে ‘হেডিং’ করার দরকার নাই : ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : উপকুলীয় অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ ও পূনর্বাসন করতে আওয়ামী লীগের চারটি টিম যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
তিনি জানান, এ ৪টি টিম কক্সবাজার ও কুতুবদিয়া-মহেশখালী, আনোয়ারা-পতেঙ্গা, বাশঁখালি, বান্দরবান-রাঙ্গামাটি এলাকায় যাবে। আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) কক্সবাজার গিয়ে আমরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, প্রশাসনের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক সভা করবো। এরপর শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় অবস্থান করবো এবং ত্রাণ বিতরণ করবো। এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে হেডিং বিএনপি নিয়ে করার দরকার নাই। গতকাল বুধবার বিকালে ধানমন্ডির পিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নিয়ে যৌথ সভায় সাংবাদিকদের সামনে এ কথা জানান তিনি।
 ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিতে টিম পাঠাতে নেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। দায়সারভাবে ত্রাণ দিয়ে ফটোশেসন না করে তন্ন তন্ন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমান রিপোর্ট তৈরি করতে আনতে বলেছেন। তালিকা থেকে দলীয় ও সরকারিভাবে তাদেরকে সাহায্য করা হবে। আমরা শুধু রিলিফ দিয়ে সীমাবদ্ধ থাকবো না। প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করবো।
কাদের বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ উপকূলে আঘাত হেনেছে। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি  নেয়ার কারনে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কম হয়েছে। ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়ায় ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, বাগেরহাট, মংলায় লাখ লাখ লোক আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল। এ কারণে ক্ষতি অনেক কম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ দুর্বিপাকে ‘প্রোঅ্যাকটিভ’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের টিম যাচ্ছে, দায়সারা গোছের রিলিফ দিয়ে আমাদের কাজ শেষ হবে না। তন্ন তন্ন করে খুঁজে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে  সাহয্য সহযোগিতা দেয়া হবে।  প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলে থাকাকালে যেমন তৎপর ছিলেন, ক্ষমতায় থাকার সময় আরও বেশি সাহায্য করা যায়; সেটা কাজে লাগাচ্ছেন।
দুর্গম এলকায় সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী রিপোর্ট করবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয়ভাবে একটি রিপোর্ট করা হবে। আগামী কাল কক্সবাজারে একটি প্রস্তুতিমুলক সভা করা হবে। আওয়ামী লীগের চারটি প্রতিনিধি দলের মধ্যে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন,  টেকনাফ প্রতিনিধি দলে থাকবেন মাহবুবউল আলম হানিফ, এনামুল হক শামীম। কুতুবদিয়া, মহেশখালীতে যাবেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় যাবেন আবদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল এবং বান্দরবান, রাঙ্গামাটিতে যাবেন আক্তারুজ্জামান, দীপঙ্কর তালুকদার, অসীম কুমার উকিলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল।
দলের জেলা পর্যায়ে সমস্যা দ্রæত সমাধান করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে আমাদের দলের মধ্যে কিছু সমস্যা আছে। রমজানের মধ্যে আমাদের দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা জেলার নেতাদের সঙ্গে বসে ঠিক করে নিবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের হাতে আর বেশি সময় নেই। আমরা দলের বর্ধিত সভার মাধ্যমে দলের সর্বাত্মক নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপসহ কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের  নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
৩০ লাখ ৮ হাজার ২৫৭টি মোটরযান রয়েছে: ওবায়দুল কাদের
বর্তমানে দেশে ৩০ লাখ ৮ হাজার ২৫৭টি মোটরযান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার সংসদে সরকারিদলের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, মোটরযান গুলোর মধ্যে ৩৯ হাজার ৯৪৫টি বাস, ২৭ হাজার ১১৮টি মিনিবাস, ১ লাখ ১৯ হাজার ৮০৪টি ট্রাক, লরী ৪ হাজার ৬৬৪টি এবং প্রাইভেটকার ৩ লাখ ১০ হাজার ৮২১টি। মন্ত্রী বলেন, এ খাত থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ২০১৭ সালের ২০ মে পর্যন্ত ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৯৫২ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ হাজার ৬২ কোটি টাকা এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এম আবদুল লতিফ এমপির অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পুলিশ সদরদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালে ২ হাজার ৫৬৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৪৬৩ জন মৃত্যুবরণ করেছে ও ২ হাজার ১৩৪ জন আহত হয়েছে। সরকারি দলের এমপি ডা. এনামুর রহমানের এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী  বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের সুবিধার্থে ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে সাভার ইপিজেড পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পণা নেয়া হয়েছে। চীন সরকারের অর্থায়নে আগামী ডিসেম্বরে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। সড়কটি চার লেনে উন্নীত ও সড়কের পাশে ফুটপাত ও ড্রেনেজ নির্মাণের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার রাস্তা। এই রাস্তার দুইপাশে বিল ও জলাশয় রয়েছে। যেখানে জমি অধিগ্রহণ সম্ভব নয়। কিন্তু রাস্তা প্রসস্ত করতে হলে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। যে কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পণা নেওয়া হয়েছে।একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গার্মেন্ট শিল্প মালিকরা বলেছেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পাশাপাশি নিচে ফোরলেন করার কথা। আসলে ফোরলেন আর প্রয়োজন হবে না। কারণ যেখানে যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে সেখানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্প থাকবে। ফলে নেমে যাওয়ার কোনো সমস্যা হবে না। তারপরও পরে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।



 

Show all comments
  • S. Anwar ২ জুন, ২০১৭, ১০:১৮ এএম says : 0
    অত কথার ঢাকঢোল পেটাচ্ছেন কেন মন্ত্রীসাব? রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আঁকড়ে বসে আছেন বলে দুর্গত এলাকায় যেতে আপনারা বাধ্য। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে তারাও ক্ষমতার চাপে বাধ্য হতো। এতে আওয়ামী লীগের কেরামতির কিছুই নেই। বরং ী তাতে আপনারা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ