Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পারিবারিক পরিবেশে সাহারী-ইফতার সম্প্রীতি সৌহার্দ্য ও হৃদ্যতা বাড়ায়

| প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ইনকিলাব ডেস্ক : মুসলিমগণ আরবী নবম মাস রমজানকে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও জাঁকজমকের সাথে পালন করে থাকেন। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত অবধি পানাহার-কামাচার থেকে বিরত থেকে সওম পালন করেন, অপরদিকে রাতে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ নামায এবং কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জীবনের পূর্বের সব গুনাহ ক্ষমা করিয়ে নেন মুসলিমরা। সওম পালনের সূচনা ঘটে সাহারী গ্রহণের মাধ্যমে। সাহারীতে আমরা স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করে থাকি। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আমাদের খাবারে কিছু কিছু গ্রহণ ও কিছু কিছু বর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন। তৈলাক্ত ও চর্বিজাতীয় খাবার বর্জন করে পুষ্টিকর খাদ্যের দিকে আমাদের নজর দেয়া বেশি জরুরী। কারণ, পুষ্টিকর খাদ্য আমাদের শক্তি যোগাবে এবং স্বাস্থ্যকে রাখবে অটুট।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভাজা-পোড়া গোশত পরিহার করে রান্না করা গোশত খাবার পরামর্শ দেন। এ ধরনের গোশত আমাদের শরীরে চর্বির সংযোগ না ঘটিয়ে শক্তি যোগাবে।
উচ্চ কেমিক্যাল মিশ্রিত এবং প্রিজার্বেটিভ সংযুক্ত প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার সাহারী বা ইফতারে পরিহার করা উচিত। পক্ষান্তরে স্থানীয় দোকান থেকে তাজা ফল এবং শাকসব্জি কিনে খাওয়া উচিত। অনুরূপভাবে লবণাক্ত খাবার বা লবণ বেশি থাকে এমন খাবার পরিহার করা উচিত। আর দিনভর সতেজ থাকার জন্য অবশ্যই সাহারীর সময় বেশি করে তরল পান করতে হবে।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, পারিবারিক পরিবেশে পরিবার সদস্যদের নিয়ে সাহারী ও ইফতার গ্রহণের চেষ্টা করা উচিত যাতে সবার সাথে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও হৃদ্যতা বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ আমাদের মাঝে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি আর হৃদ্যতা বৃদ্ধি করে দিন। আমীন। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ