পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে র্যাবের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে মাইদুল ইসলাম ওরফে রানা (৪৫) ও আলিমুদ্দীন (৬০) নামে দুইজন চরমপন্থি সদস্য নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে কোটচাঁদপুরের বহরমপুর গ্রামের নতুন রাস্তার নাকড়তলা নামক স্থানে এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
এ সময় র্যাবের তিন সদস্য হাবিলদার মহসিন আলী, কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ আহত হন। পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল) জনযুদ্ধের আঞ্চলিত নেতা নিহত মাইদুল ইসলাম রানা কোটচাঁদপুরের বকশিপুর গ্রামের ফকির চাঁদ মন্ডলের ছেলে। অন্যদিকে আলিমুদ্দিন একই উপজেলার বহরমপুর গ্রামের সলেমান মন্ডলের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা চাঁদাবাজীসহ কোটচাঁদপুর থানায় অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব দুইটি বিদেশী একনালা বন্দুক, একটি নাইন এমএম পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি, একটি হাসুয়া ও দুইটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে। ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর অধিনায়ক মেজর মনির আহম্মেদ জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে র্যাবের টহল দল কোটচাঁদপুরের কুশনা ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামে পৌছালে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুক যুদ্ধে মাহিদুল ইসলাম ওরফে রানা ও আলিমুদ্দীন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফারুক হোসেন তাদেরকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। ডাঃ ফারুক হোসেন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জানান, রাতে গুলির শব্দ পেয়ে আমরা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি বন্দুক যুদ্ধের হতাহতের ঘটনা। তখন এডিশোনাল এসপি রেজাউল করিম ও তিনি নিজেই রাতে হাসপাতালে এসে দুই জনের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পান। নিহত মাইদুল ইসলাম রানা পূর্ববাংলার জনযুদ্ধের প্রধান দাদা তপনের কাছে লোক বলে পরিচিত ছিল। পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির একচেটিয়া দাপটের সময় রানা ছিল মুর্তিমান আতংক। ১৯৯৫ সালে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া থেকে সন্ত্রাসী রানা একে-৪৭ রাইফেলসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে সে আবারো অন্ধকার জগতে ফিরে যায়। রানার সন্ত্রাসী কার্যাকলাপে কোটচাঁদপুরসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা গুলির মানুষ চরম ভীতসন্ত্রস্ত ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।