পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দশম জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি রাজনীতিতে ভুলের চোরাবালিতে আটকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গত ২৮ মে এক অনুষ্ঠানে বলেন, সরকার গণবিচ্ছন্ন হয়ে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে। তারা এক চোরাবালির মধ্যে ডুবে আছে। যত নাড়াচড়া করবে, ততই তারা ডুববে।
নজরুল ইসলাম খানের বক্তব্যের পাল্টা জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি তো জানি, বাংলাদেশের জনগণ জানে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পর থেকে বিএনপি রাজনীতি চোরাবালিতে আটকে আছে, আমরা ঢুবে যাব কেন? বিএনপির রাজনীতিই তো ভুলের চোরাবালিতে আটকে আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য জানতে চান সাংবাদিকরা। তিনি বলেন, আপনি কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স করবেন, সেটার সাথে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কী সম্পর্ক জানি না। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখা দরকার। তাহলে আমাদের মন্ত্রীরা কেন দুদকের মামলায় আদালতে হাজিরা দিচ্ছে। আমাদের একজন এমপির ছয় মাসের কনভিনশন হয়ে গেছে। ক্রিমিনাল কেসে আমাদের আরেকজন এমপি কারাগারে অন্তরীণ।
‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালতের বিচারে যে দোষী সাব্যস্ত হবে তার বিচার হবে। যদি কেউ অভিযোগ থেকে খালাস পান তাহলে তিনি মুক্তি পাবেন। কিন্তু আমি যেটা বলতে চাই সেটা হচ্ছে- নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য মামলা প্রত্যাহার, এটা মামা বাড়ির আবদার ছাড়া আর কিছু না।
এবারের রোজায় গতবারের চেয়ে যানজট বেশি, যানজট মোকাবেলায় কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না- এ প্রশ্নে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, যানবাহনের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে, সে তুলনায় রাস্তা বাড়ছে না। রাস্তা যেগুলো বাড়ছে সেগুলো আমাদের মন-মানসিকতা তো ঠিক নেই। এদেশের মন-মানসিকতা হচ্ছে মেইন প্রবলেম।
তিনি বলেন, ইদানিং দুর্ঘটনার হার অনেক বেড়ে গেছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার খুব কষ্ট লাগে, এত রাস্তা করলাম, ভাল রাস্তায়ও এক্সিডেন্ট হচ্ছে। এ বিষয়গুলো সমন্বিতভাবে চিন্তা-ভাবনা করার জন্য সবাইকে বলেছি। যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে ভোটের রাজনীতিকেও বাঁধা হিসেবে চিহ্নিত করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, যানজটের বিরুদ্ধে, দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে কিছু স্টেপ আছে, কঠিন সিদ্ধান্ত। সেগুলো যখন নিতে যাব বাধা আসবে, সামনে নির্বাচন। ভোটের রাজনীতিও একটা বিষয়, সেটাও আমাদের দেশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পাঁচ বছরের সরকার হলে কঠিন কাজগুলো প্রথম দুবছরে করা উচিত।
চিকিৎসাধীন আ’লীগ নেতাদের পাশে ওবায়দুল কাদের
এদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ নেতাদের দেখতে গেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে দেখতে যান তিনি।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহভাজন আবুল হাসেমকে হাসপাতালে দেখতে যান তিনি। একই সাথে দিনাজপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালকেও দেখতে যান ওবায়দুল কাদের। এ সময় তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন তিনি।
এর আগে গত ২৩ মে মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের নেতাদের দেখতে যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওই দিন সকালে তিনি নেতাদের দেখতে কয়েকটি হাসপাতালে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীমকে ল্যাব এইড হাসপাতালে, সাবেক তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদকে পপুলার হাসপাতালে, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাফরকে স্কয়ার হাসপাতালে, ল²ীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহেরকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে এবং নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক বিএসসিকে পপুলার হাসপাতালে দেখতে যান ওবায়দুল কাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।