Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টানা শিরোপার কাছাকাছি আবাহনী

| প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ক্রিকেটের মর্যাদাপূর্ণ আসর ওয়ালটন প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার ঘ্রাণ পাচ্ছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। গতকাল জিরানীস্থ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) তিন নং মাঠে আবাহনী লিমিটেড ৭ উইকেটে হারায় প্রাইম দোলেশ্বরকে। প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লিগের তৃতীয় রাউন্ডের লড়াইয়ে দোলেশ্বরের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না আবাহনীর। টানা দ্বিতীয় শিরোপা পেতে সেই কাজটি ভালই করেছে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট পেয়ে এগিয়ে গেছে আবাহনী। সমান ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বর ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে। ফতুল্লা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা প্রত্যাশী আরেক দল গাজী গ্রæপ ও প্রাইম ব্যাংকের মধ্যকার ম্যাচটি কাল বৃষ্টির কারণে শেষ হতে পারেনি। মাত্র ৪ বল গড়ানো ম্যাচে কোন রান সংগ্রহ না করেই গাজী গ্রæপ হারায় একটি উইকেট। অন্যদিকে বিকেএসপি চার নং মাঠে জিয়াউর রহমানের সেঞ্চুরিকে ¤øান করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নেয় মোহামেডান। মতিঝিলের দলটি ৫ উইকেটের হারায় শেখ জামালকে।
বিকেএসপির তিন নং মাঠে আবাহনী-দোলেশ্বর ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম দোলেশ্বর ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৯ রান তুলে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন শাহরিয়ার নাফিস। ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন করেন ২৭ রান। আবাহনীর পেসার আবু জায়েদ রাব্বি ৩ উইকেট পান ৪২ রান খরচে। জয়ের জন্য ১৯০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আবাহনী মাত্র ২০ রানে হারায় ওপেনার লিটন দাসকে। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান ১৩২ রান যোগ করেন ২৬.৫ ওভারে। সাদমান দলীয় ১৫২ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৬৫ রানে আউট হন। সাইফ হাসান ৮০ রানের ইনিংস খেলেন ৯৭ বলে। তার ইনিংসে ৯ চার ও ২ ছয়ের মার ছিলো। তিনিই জিতে নেন ম্যাচ সেরার খেতাব।
বিকেএসপি চার নং মাঠে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ১১ রানে প্রথম, ১২ রানে দ্বিতীয়, ১৭ রানের তৃতীয় ও ৩৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়ে শেখ জামাল। সেখান থেকে দলকে একাই টেনে তুলেন জিয়াউর রহমান। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে এই অলরাউন্ডার ৮৫ বলে ১০৩ রানের নান্দনিক এক ইনিংস খেলেন। তার সংগ্রহে ৬টি চার ও ৯ ছয়ের মার ছিলো। জিয়ার সেঞ্চুরিতে শেখ জামালের সংগ্রহ দাড়ায় ৪৫ ওভারে ১৯৭ রান। মোহামেডানের সফল বোলার ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিনি ৪৯ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। জয় পেতে ১৯৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মোহামেডান ৩০.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে যায়। মোহামেডানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন ওপেনার শামসুর রহমান শুভ। এই জয়ে মতিঝিলের দলটির পয়েন্ট দাড়ালো ১৬ এবং শেখ জামালের ১৪।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ