Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইরাকী বাহিনীর অভিযানে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা

| প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মসুলের বেসামরিক নাগরিকরা বিপদাপন্ন
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করেছে সেনাবাহিনী। তবে এ অভিযান থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শহরটির বেসামরিক নাগরিকরা। এ লড়াইয়ের কারণে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা-বিষয়ক সমন্বয়ক লিজ গ্রান্ডে এ কথা জানিয়েছেন। আইএস সরাসরি পরিবারগুলোকে আক্রমণ করায় শহরের বাসিন্দারা ভয়াবহ বিপদের মুখে রয়েছেন বলে তিনি বিবিসিকে জানান। তারা তীব্র নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এরই মধ্যে শহরের অধিকাংশ মানুষ ভয়াবহ রকমের পানি ও বিদ্যুত সংকটে রয়েছে। গত অক্টোবরে আইএসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরুর হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত কয়েক লাখ বেসামরিক নাগরিক উত্তরাঞ্চলীয় শহরটি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। গ্রান্ডে জানান, অভিযানের পরবর্তী পর্যায় আরো জোরদার হতে যাচ্ছে। নাগরিকদের নিয়ে উদ্বেগ থেকে তিনি বলেন, পুরো অভিযানের মধ্যে নাগরিকরা এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। সন্ত্রাসীরা পালানোর চেষ্টার সময় পরিবারগুলোকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। আমরা জানি স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত সীমিত পরিমাণ খাদ্য ও ওষুধ মজুদ রয়েছে। এমনকি তাদের ভয়াবহ পানি ও বিদ্যুত্ সংকটে থাকার কথাও আমরা জানি। এসব কিছুই নাগরিকদের চরম বিপদের মধ্যে থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা-বিষয়ক সংস্থার মহাপরিচালক স্টিফেন ওবেরিন বন্দিদশায় থাকা এসব মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এদিকে শনিবার ইরাকি বাহিনী আইএসের বিরুদ্ধে নতুন অভিযানে জয় অর্জন করার কথা জানিয়েছে। মসুলের পুরাতন শহরে এখনো নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আইএসের। গোষ্ঠীটির শেষ শক্ত ঘাঁটি থেকে জঙ্গিদের বিতাড়িত করার অভিযানে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অগ্রগতি ঘটেছে বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মসুলের পূর্বাঞ্চল পুনর্দখলের কথা ঘোষণা দেয় সরকার। কিন্তু শহরের পশ্চিমাংশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের লড়াই এখনো চলছে। কয়েক হাজার ইরাকি নিরাপত্তা বহিনী, কুর্দিশ পেশমের্গা যোদ্ধা, সুন্নী আরব গোত্র ও শিয়া আধা সামরিক বাহিনী এ অভিযানে শামিল হয়েছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট যুদ্ধবিমান ও সামরিক উপদেষ্টা দিয়ে এ অভিযানকে সহায়তা করছে। এখন পর্যন্ত লড়াইয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর দুজন কর্নেল নিহত হয়েছেন। তবে ঠিক কতজন আইএস জঙ্গি মারা পড়েছেন, তা জানানো হয়নি। বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ