Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন

সুপ্রিম কোর্টের মূর্তি

| প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে নেয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর গ্রিক মূর্তি বর্ধিত (অ্যানেক্স) ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মূর্তিটি পুনঃস্থাপন করা হয়। তবে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরাও এ বিষয়ে কথা বলা বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন।  ভাস্কর মৃণাল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপন করা হয়।  এদিকে মূর্তি স্থাপন করায় হতাশা প্রকাশ করে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম রোজার রাতে মূর্তি পুনঃস্থাপন করে জাতির ধর্মীয় বিশ্বাস ও আবেগের সাথে তামশা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত আটটা থেকে পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু হয়। এসময়  সুপ্রিম কোর্টের সবকটি ফটক বন্ধ রাখা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আশে পাশে এলাকায় সর্তক অবস্থান নেন আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ত্রিশ জন কর্মী ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের কাজ করছেন। রাত ১২টা নাগাদ এটি কংক্রিটের ভিত্তির ওপর বসানো হয়, যা প্রায় রাত দুইটা নাগাদ চলে। এসময় সশরীরে উপস্থিত হয়ে পুনঃস্থাপনের কাজ তদারকি করেন ভাস্কর্যের নির্মাতা মৃণাল হক। মৃণাল হক উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষের কথায় শনিবার রাত ৮ টার পর ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু করেন। আমার ত্রিশ জন কর্মী ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের কাজ করছেন। শেষ হয় রাত পৌনে ১টার দিকে। এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমি কিছু শুনিনি। আমি তো জানতাম না। এ বিষয়ে কথা বলা বিপজ্জনক।  সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীরাও প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
এর আগে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য জানান, ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি পুনঃস্থাপিত হবে। মূর্তি পুনঃস্থাপনের বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা ইনকিলাবকে বলেন, এটা বিষয়ে কোন কথা বলব না।
পরে মৃণাল হক বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে অ্যানেক্স ভবনের সামনে আনা আর একজায়গা থেকে আরেক জায়গায় আনা এক জিনিস না। সামনে থাকা এক জিনিস, ভেতরে থাকা আরেক জিনিস। কারণ  সেখানে  বেশি মানুষ  দেখার সুযোগ  পেতো। বর্তমান জায়গায় মূর্তি (তার ভাষার ভাস্কর্যটি) কম মানুষ দেখার সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, এই সাবজেক্ট নিয়ে আমি মুখ খুলতে চাই না। মুখ খুললে এটা আরও বড় হবে। মৃণাল হক জানান, আমার ত্রিশ জন কর্মী ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের কাজ করছেন।
এ আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর মোট ২০ জন শ্রমিক মূর্তিটি ভাঙার কাজ করে। পরে মূর্তিটি ভোর পাঁচটার দিকে পিকআপ ভ্যানে করে হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের ভেতর পানির পাম্পের পাশে ভাস্কর্যটি রাখা হয়।
প্রসঙ্গ, ২০১৬ সালের শেষ দিকে গ্রিক দেবী থেমিসের মূর্তি (ভাস্কর্যটি) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়। এরপর প্রায় দুই মাস এ বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কোনও মত প্রকাশ করা না হলেও ফেব্রæয়ারিতে মুখ খোলেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। বিবৃতিতে তারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ  থেকে এটি অপসারণের দাবি জানান। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ইসলামী দলগুলো ভাস্কর্যটি সরানোর দাবিতে আন্দোলন করছিল। গত ১১ এপ্রিল হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী নেতৃত্বাধীন একদল ওলামার সঙ্গে গণভবনে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা মূর্তি সরাতে পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রতি দেন। এটি অপসারণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী সায় দেয়ার পর রোজা শুরুর আগে তা সরানোর দাবি জানিয়ে আসছিল হেফাজতসহ ইসলামী দলগুলো। যার ফলশ্রæতিতে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবন থেকে সরানো হয়।



 

Show all comments
  • তারেক মাহমুদ ২৯ মে, ২০১৭, ১:০০ এএম says : 0
    আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
    Total Reply(0) Reply
  • shadhin ২৯ মে, ২০১৭, ২:৫০ এএম says : 0
    Men are slowly loving murty. It is symptom of loosing iman. Murty is not allow in islam. Whom are loving they can take it in their home can love freely no body will ask.
    Total Reply(1) Reply
    • James ১ জুন, ২০১৭, ২:১৪ এএম says : 4
      Okay, but you have to learn how to speak and write in English. Your sentence construction was completely incorrect.
  • Selina ২৯ মে, ২০১৭, ৩:৫৫ এএম says : 0
    Remove and save Iman .
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ২৯ মে, ২০১৭, ১০:০৬ এএম says : 0
    ওই মুর্তির প্রেমী-ভক্ত-হোঁতারা যা-ই হোক্ না কেন নামধারী হলেও ইমানদার মুসলমান যে নয় তা মোটামুটি নিশ্চিত। মুসলমানদের ইমানী চাপের মুখে বাধ্য হয়ে সুপ্রীম কোর্টের সম্মুখ থেকে গ্রীক মুর্তি সরিয়ে নিলেও পুনরায় এনেক্স ভবনের সম্মুখ সেই মুর্তিকে স্থাপন করে ওই মুর্তি-প্রেমীরা মুসলমানদের প্রতি আবার একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। মুর্তি প্রেমীদেরকে আমরা স্মরণ করে দিতে চাই, কারো প্রশ্রয়ে বা স্বীয় অতি-আবেগের বশে ভুলে গেলে বড় ভুল হবে যে, এই বাংলাদেশের ৯০%জন লোকের ধর্ম ইসলাম এবং এদেশে মুসলমানদের ইচ্ছার প্রাধান্যই চলবে। যেমন পার্শ্ববর্তী ভারতে চলে ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রাধান্য আর বার্মায় চলে বৌদ্ধের প্রাধান্য। যারা বলে রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে পারে না তারা স্বীয় স্বার্থ-সিদ্ধির জন্য মিথ্যা বলে। যে কোন রাষ্ট্রের সংখ্যা গরিষ্ট লোকের ধর্মই সেই রাষ্ট্রের ধর্ম। এটাই বিশ্ব জুড়ে প্রমানিত সত্য।
    Total Reply(0) Reply
  • md. abdulla ২৯ মে, ২০১৭, ১০:২৬ এএম says : 1
    its 90 percent Muslim country our land, statue is haram for Muslim culture .all should know that .
    Total Reply(0) Reply
  • Mainul Hasan Raju ২৯ মে, ২০১৭, ১:৪৪ পিএম says : 0
    শুধু হেফাজত কেন, চরমোনাই পীর কেনো, এখন সময় এসেছে সকল দেশ প্রেমিক সাধারন নাগরিকদের এই ভাস্বর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে রাজপথে নেবে আন্দোলন করার। যে যে দলই করি না কেনো মূর্তির বিরুদ্ধে আমরা সাধারন জনতা একই পথে হাটবো। এক কথা এক দাবী গ্রীক দেবী বাংলাদেশ ছেড়ে কবে যাবি? তোলো স্লোগান বন্ধু, দেও জোড়ালো আওয়াজ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mh Shohagh ২৯ মে, ২০১৭, ১:৫৭ পিএম says : 0
    সরকার জনগনের সাথে তামাশা করতেছে।।
    Total Reply(0) Reply
  • Foyez Ahmed ২৯ মে, ২০১৭, ১:৫৮ পিএম says : 0
    গ্রিক মূর্তি বাংলাদেশের সংস্কৃতি হয় ক্যামনে ?
    Total Reply(0) Reply
  • মাহমুদ সাদ ২৯ মে, ২০১৭, ৩:১৫ পিএম says : 0
    আগে থেকেই আমাদের সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্বশীলদের বিচক্ষণ জানতাম।গ্রিকমূর্তি স্থাপনের পর সে ধারণায় ভাঁটা পড়ে।কিন্তু যখন তা সরিয়ে নিলেন তখন মনকে তিরস্কার করে বললামঃনা তোমার মাতৃভুমি কখনো ........................... ভুল আমরা অবশ্যই শুধরাবো।ইনশাল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • m.a.awal. ১ জুন, ২০১৭, ৭:৫৪ পিএম says : 0
    This controversial statue should be placed in a place where no question or debate arises from any corner.Better it could have been moved and placed at Dhakeshwari Mandir.Hoping,authority may think and consider my suggestion to avoid unnecessary complexities on the issue.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ