নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেকটাই একঘরে হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ে ছাড়া আর কোনো টেস্টখেলুড়ে দলই তার পর থেকে যায়নি পাকিস্তান সফরে। তবে গত এপ্রিলে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ বা হাইপারফরম্যান্স টিমের পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে। কিন্তু এখন সে সফর নিয়েও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে বিসিবি। গুলশানে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে অনেকটাই একঘরে হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর আগামী জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচিতেও (এফটিপি) আছে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরের তালিকা। কিন্তু এ সফরের ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পাকিস্তান। আর পিসিবির এ সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে পাকিস্তানে দল পাঠানোর ব্যাপারে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় দলের পাকিস্তান সফরের কোনো সম্ভাবনাই নেই। আমাদের হাইপারফরম্যান্স দল বা অনূর্ধ্ব-১৯ দল সেখানে যেতে পারত। কিন্তু পাকিস্তান বাংলাদেশ সফর বাতিল করার পর সে ব্যাপারেও আর কোনো কথাবার্তা উঠছে না।’
এদিকে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে পাপন বলেন, দচ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা সবচেয়ে শক্তিশালী দলগুলোর সঙ্গে খেলছি। নিজেদের মাটিতে ইংল্যান্ডকে অপ্রতিরোধ্য টিম বলে অনেকে, অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের সেরা দল এখন। তাদের জন্য ওই ধরনের কন্ডিশন উপযোগী। এমনকি নিউজিল্যান্ডের জন্যও কন্ডিশনটা আমার চেয়ে বেশি ভালো। তারপরেও আমরা জেতার জন্যই খেলবো। সে জন্য আগের কোন হিসেবই আমরা মাথায় রাখতে চাই না। আমাদের যে পারফরম্যান্স, যে কম্বিনেশন আছে তাতে জেতা সম্ভব।
অনেকদিন ধরেই ‘এ’ দল কিংবা হাইপারফরম্যান্স দলের বিদেশ সফর নেই। বাংলাদেশ ‘এ’ দল সর্বশেষ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে খেলেছিল। এরপর কেটে গেছে দেড় বছর। দেশের বাইরে আর যাওয়া হয়নি পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটারদের। অবশেষে আগামী জুলাইয়ে ‘এ’ দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে।
এ খবর জানিয়েছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। শুধু তাই নয়, এই সিরিজটির পর ‘এ’ দলের আরও কয়েকটি সফরের বন্দোবস্ত করা হবে জানালেন তিনি, ‘দলটির বিদেশ সফর নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। হাই পারফরম্যান্সের (এইচপি) অধীনেই ‘এ’ টিম হবে। জাতীয় দলের কিছু খেলোয়াড় হয়তো থাকবে। জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফর দিয়েই শুরু হবে এই পরিকল্পনা। এরপর আরও কয়েকটি সফর আয়োজনের চেষ্টা চলছে।’
জাতীয় দলের ব্যাকআপ খেলোয়াড় প্রস্তুত রাখার জন্য ‘এ’ দলের নিয়মিত বিদেশ সফর জরুরি। ব্যাকআপ খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যেই এখন থেকে নিয়মিত ‘এ’ দলের সফর হবে বলে জানালেন তিনি, ‘সবসময়ই আমরা ‘এ’ টিমকে খেলাতে চাই। কিন্তু যাদের বিপক্ষে খেলাব, তারা ফ্রি থাকে না বলেই আমরা খেলাতে পারি না।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘হঠাৎ করে কেউ চোট পেলে বা কেউ চলে গেলে স্থলাভিষিক্ত কারও প্রয়োজন হয়। সেই জায়গা যেন পূরণ করতে পারি এমন খেলোয়াড় নিয়েই আমার দল গঠন করব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।