পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : যুগে যুগে আধুনিক প্রযুক্তি বিশ্বের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রায় প্রতিটি প্রযুক্তি আগমনের সাথে সাথে বাহ্যিক দৃষ্টিতে এগুলোকে অনৈসলামিক বা আল্লাহদ্রোহী কাজে ব্যবহৃত হতে দেখে মুসলিমগণ তাকে না-জায়েয বলে তা গ্রহণ থেকে দূরে থেকেছে। আর সে স্থান দখল করে তা নিজেদের মত ব্যবহার করেছে ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী। আর সব প্রযুক্তির মত মোবাইলের ক্ষেত্রেও বিষয়টি সমভাবে প্রযোজ্য। কুরআন তেলাওয়াত, ধর্মীয় বিভিন্ন অ্যাপসে ঠাঁসা স্মার্ট মোবাইল। চাহিবা মাত্র মিলছে যে কোন মাসআলার তাৎক্ষণিক সমাধান। এর পাশাপাশি অনেকেই এর অপব্যবহার করছেন। এমনকি ইবাদতের ক্ষেত্রেও এর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার ইবাদতের খুশু-খুযু তথা আন্তরিকতায় ছেদ ঘটাচ্ছে। সালাত আদায় করতে গিয়ে, হজ্জ বা ওমরা করতে গিয়ে সেলফি তুলে প্রতিটি মুহূর্তে শেয়ার করছেন। অথচ এসব ইবাদতের সময় সকল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু থাকার কথা যার উদ্দেশে এসব ইবাদাত করা হচ্ছে তথা মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীনের প্রতি। রোযা পালনের ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম কিছু লক্ষ্য করছি না। প্রথম রমজানে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে আয়োজন করা হয় বিশাল ইফতারের। সেখানে পুরুষের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মহিলারাও। তাদের দেখা গেল, ঠিক যে মুহূর্তে দোয়া কবুল হয় তখন আপন মনে বান্ধবীদের নিয়ে সেলফি তোলায় ব্যস্ত। একটি মহৎ ইবাদাত তাদের মাঝে আন্তরিকতার সৃষ্টি করতে পারেনি। তাই ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন কতটা সম্ভব হবে তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই বলতে পারবেন। আল্লাহ আমাদের প্রযুক্তির উত্তম ব্যবহার ও অপ্রয়োজনীয় কর্মকান্ড বর্জনের তাওফিক দান করুন। আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।