পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি অপসারিত হওয়ায় বিভিন্ন ইসলামী দল প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন গ্রীক দেবীর এই মূর্তিকে অন্যত্র স্থাপন করতে দেওয়া হবে না।
কারণ মূর্তি সংস্কৃতি ঈমান ও তাওহীদের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। সুতরাং এটিকে অন্য কোথাও স্থাপন করার পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা হবে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের জন্য এক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এ চক্রান্ত কিছুতেই বাস্তবায়িত হতে দেওয়া হবে না এবং কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগর
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুতিউর রহমান গাজীপুরী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ এক মুফতী বশীরুল হাসান খাদিমানী বলেছেন, অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পর অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারিত হওয়া মূলত ঈমানী আক্বীদা-বিশ্বাসেরই বিজয়। প্রধনমন্ত্রী আলেম সমাজকে ও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত রমজানের ঠিক আগ মূহুর্তে প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতিশ্র“তি রক্ষা করলেন। এ জন্য তাঁকে এবং প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অপসারণের পর গ্রীক দেবীর এই মূর্তিকে নাকি সুপ্রিম কোর্টের এনক্স ভবনের সামনে কিংবা যাদুঘরে স্থাপনের চক্রান্ত হচ্ছে বলে নানা সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এই মূর্তি এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে নিছক আবর্জনা। অতএব বাংলাদেশের কোথাও এটিকে স্থাপন করা যাবে না। এ রকম অযৌক্তিক পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা হবে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের জন্য এক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
পীর সাহেব চরমোনাই
মুসলমানদের গণ দাবি রমজানের আগেই গ্রিক দেবীর মূর্তির অপসারণ করায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, গণ দাবির কাছে অশুভ শক্তির পরাজয় হয়েছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জনমত ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের দাবি মেনে মূর্তি অপসারণ করায় মুসলমানদের বিজয় হয়েছে। তিনি বলেন, মূর্তি অপসারণের পর অন্যত্র স্থাপনের চেষ্টা বরদাশত করা হবে না। যে কোন মূল্যে এ চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমতকে উপেক্ষা করে ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থি কোনো কাজ করা থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিরত থাকতে হবে।
ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট
ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহŸায়ক ও পীর সাহেব শাহ্ সুফী ইঞ্জি: সৈয়দ আ: হান্নান আল হাদী বলেছেন, সুপ্রীম কোর্টের প্রাঙ্গন থেকে গ্রীক দেবী মূর্তি অপসারণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন। তিনি বলেন, এ পদক্ষেপে জাতি এক অনিবার্য সংঘাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। তবে আবার গ্রীক দেবী মূর্তিকে অন্য কোথাও পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ নিলে দেশে পুণরায় সংঘাতের সৃষ্টি হবে। ভাস্কর মৃণাল সেনকে পুঁজি সরবরাহ করে কারা? এদেশের রাস্তাঘাটে প্রাণীর মূর্তি বা ভাস্কর্য বসাবার জন্য তার অনুসন্ধান দরকার। এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ট ৯২% মুসলমানের ধর্ম ইসলামে প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ইত্যাদি অনুমোদিত নয়, তাই এটা কোন মুসলমান সংস্কৃতি নয়। অন্যস্থানে মূর্তি বসাবার চক্রান্ত আমরা সর্বশক্তি দিয়ে আলাহ্র সাহায্যে এগুলো প্রতিহত করবো ইনশাআলাহ্।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।