পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল ব্যুরো : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রাতভর তান্ডবে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী এলাকার বিপুল সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ী ঘরের ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার রাতের ওই তান্ডবের সময় ছাত্রদের হামলায় বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা/কুয়াকাটা ও বরিশাল-ভোলা-ল²ীপুর-চট্টগ্রাম রুটের অন্তত ২৫টি যানবাহনেরও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। উত্তেজিত ছাত্ররা এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামেনের মহাসড়কও অবরোধ করে। ফলে নারী ও শিশু সহ হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পরেন। পরে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনারও শিক্ষক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। মধ্যরাতের পরে ক্যম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ব্যপারে থানায় কেউ কোন মামলা করেনি। এ ব্যাপারে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করলেও এলাকায় তাদের সতর্ক নজরদারী অব্যাহত রয়েছে বলে বরিশাল মেট্রো পলিটন (বিএমপি)’র দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে। ক্যম্পাসের আসেপাশের কর্ণকাঠী ও চরকাউয়ার গ্রামগুলোতে আতঙ্কের পাশাপাশি উত্তেজনাও অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে এলাকাবাশী ও ছাত্রদের তরফ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার পরে বিশ্ববিদালয়ের কয়েকজন ছাত্র ক্যম্পাস সংলগ্ন শহিদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর নিচে একটি চায়ের দোকানে বসে নাস্তা করার সময় ঘটনার সূত্রপাত হয়। এলাকাবাসির অভিযোগ ছাত্ররা এলাকার মুরুব্বীদের সামনে বসে ধুমপান করায় স্থানীয় তরুন জয় ও বাপ্পি সহ কয়েকজন তাদের বিরত থাকতে বলে। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছাত্ররা নিষেধকারী ওই তরুনদের ওপর হামলা চালায়। অপরদিকে ছাত্রদের দাবি ক্যম্পাস সংলগ্ন জয় ও বাপ্পী দীর্ঘদিন ধরেই নিরিহ ছাত্রদের সাথে দুর্ব্যবহার সহ ছাত্রীদের সাথেও অশালীন আচরণ করে আসছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার পরেও তারা চায়ের দোকান থেকে ছাত্রাদের অন্যত্র চলে যেতে বলে। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে বখাটেরা ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। পরে খবর পেয়ে ক্যম্পাস থেকে বিপুল সংখ্যক ছাত্র লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে এলাকার দোকানপাট সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কয়েকটি বাসাবাড়ীতেও হামলা চালায়। পরে বিশ্ববিদ্যালরে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ছাত্রদের ক্যম্পাসে ফিরিয়ে আনেন।
কিন্তু এর পরে উত্তেজিত ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করে। ফলে বরিশাল সহ সারা দেশের সাথে পটুয়াখালী, বরগুনা, কুয়াকাটা ও ভোলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে মহানগর পুলিশের ডিসি-দক্ষিণ সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এলাকায় গিয়ে শিক্ষকদের সহাতায় মহাসড়ক অবরোধমুক্ত করে ছাত্রদের ক্যম্পাসে ফিরিয়ে নেন।
অপরদিকে এলাকাবাসির পক্ষ থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সম্পর্কে নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিশেষকরে অনেক ছাত্রের বিরুদ্ধে মাদকাশক্ত সহ এলাকাসির সাথে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ করা হয়। উপরন্তু যে কোন তুচ্ছ ঘটনা নিয়েই কাম্পাসের সামনে জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সারাদেশকে সড়ক পথে বিচ্ছিন্ন করারও অভিযোগ করেছেন তারা। তবে এ ব্যপারে গতকাল অনেক চেষ্টা করেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র কোন বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ক্যম্পাস পরিস্থিতি শান্ত হলেও নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।