পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা, আহত-১০
জাবি সংবাদদাতা : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার প্রতিবাদ ও ক্যাম্পাসে জানাযার নামাজ পড়তে না দেয়ার অভিযোগসহ কয়েকদফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ আন্দোলনকারী ১০ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় শিক্ষার্থীদেরকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা ও সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল রাস্তা থেকে সরে মানববন্ধন বা ক্যাম্পাসের ভিতরে আন্দোলন করতে বলেন। কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাস্তা না ছাড়ায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ঘটনাস্থলে হাজির হন এবং শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো ভিসির নিকট লিখিতভাবে দেন। শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা গেটে পুলিশ চেক পোস্ট বসানো, জয় বাংলা (প্রান্তিক) গেটে ৭দিনের মধ্যে ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণ কাজ শরু করা, আজকের মধ্যেই পর্যাপ্ত স্পিড ব্রেকার নির্মাণ, গতি সীমা নির্দিষ্ট করা, নিহত শিক্ষার্থীদের আত্মীয়দের যোগ্যতা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী প্রদান, নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সহ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। উপাচার্য দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীদের তুলে ধরা লিখিত দাবির কাগজে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ভিসির আশ্বাস এবং সাক্ষরে সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান।
এরপর বেলা তিনটার দিকে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবারও আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। এরপর পরিস্থিতি খারাপ দেখে ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আবার এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং স্পিডব্রেকার নির্মাণের কাজ করা শুরু করেন। কিন্তু তাতেও আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছেড়ে যায়নি। তারা দাবি তুলে তাদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করতে হবে। এরপর আশুলিয়া ও সাভার মডেল থানা পুলিশ দুই দিক থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত এসপি আশরাফুল আজিম বলেন, ‘রাস্তা থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোন ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মতায়ন করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি এবং তাদের দাবিগুলো পূরণ করার আশ্বাস দিয়েছি। তাদের দাবিতে সাক্ষর করেছি। কিন্তু তারপরও তারা আমাদের কথা না শুনে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এ অধিকার তাদের নেই।’
এদিকে এ নিউজ লেখা পর্যন্ত রাস্তা ছেড়ে ভিসির বাড়ি অবরোধ করে ভাঙ্গচুর করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এবং ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবি করছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।