পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার চায় জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা সংস্থা (জাইকা)।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ তাগিদ দেয় জাইকার প্রেসিডেন্ট ড. শিনিচি কিতাওকার নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজানের মর্মান্তিক হামলার পর জাইকার প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে। যদি আরও নিরাপত্তা প্রয়োজন হয়, তবে তাও দিতে সরকার প্রস্তত বলে জাইকার প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন প্রতিনিধি দল হলি আর্টিজানের ঘটনায় করা মামলা দ্রæত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ মামলার তদন্ত করছে বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিগগিরই এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, জাপানি নাগরিক কুনিও হোশির মৃত্যুর ঘটনাও নিষ্পত্তি হয়ে গেছে বলেও প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে।
এসব হামলার ঘটনার পর সরকার যে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে জাইকার প্রতিনিধি দল সস্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া দেশে জাইকার যে প্রকল্পগুলো বাংলাদেশে চলছে, সেগুলো চালিয়ে যাওয়ার বিষয়েও তারা আশ্বস্ত করেছেন।
তবে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জাইকার প্রতিনিধি দল সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে জঙ্গিরা গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। জঙ্গিদের গুলি ও গ্রেনেড হামলায় নিহত হন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ খান ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট অভিযান’ চালিয়ে রেস্তোারাঁ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জিম্মিকে জীবিত এবং ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে জাপানের সাত নাগরিকসহ ১৭ বিদেশি রয়েছে। এ ছাড়া অভিযানে ছয় জঙ্গির সবাই নিহত হয়।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।