Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রিলায়েন্সের বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ১০ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

| প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাটে ৭৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাস চালিত একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব রয়েছে। ভারতের রিলায়েন্স গ্রæপ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব মো. মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারি অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘মেঘনা ঘাটে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে ভারতের রিলায়েন্স গ্রæপ। সংস্থাটি পর্যায়ক্রমে দেশে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে মেঘনাঘাটে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ কেন্দ্রটির ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৮৫ টাকা। এ প্রকল্পে ২২ বছরে মোট খরচ হবে ৮০৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রিলায়েন্স এই কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য মেঘনা ঘাট এলাকায় সরকারের কাছে ৪০ একর জায়গা চেয়েছে। সরকারের পক্ষে জমি দেবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পের অধীনে মহেশখালীতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করার জন্য একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করবে রিলায়েন্স। মহেশখালী  থেকে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম পর্যন্ত একটি পাইপলাইন স্থাপন করবে বাংলাদেশ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি। এর ব্যয় রিলায়েন্স বহন করবে। ওই পাইপলাইন দিয়েই এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তর করে সরবরাহ করা হবে। ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য দৈনিক ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি প্রয়োজন হবে। বাকি গ্যাস সরকার আন্তর্জাতিক বাজার দরে তাদের কাছ থেকে কিনে নেবে।
গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় দেশটির বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আদানী এবং রিলায়েন্স বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব নিয়ে আসে। আদানী গ্রæপের সঙ্গে ওই সময় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও রিলায়েন্সের সঙ্গে তা হয়নি। কারিগরি কমিটির মূল্যায়ন রিপোর্ট না থাকায় ঐ সময় চুক্তি হয়নি। গতকাল মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদনের পর এখন চুক্তি স্বাক্ষর করবে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বৈঠকে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরজি ভার্সন) এবং এসএসসি ভোকেশনাল স্তরের বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের লক্ষ্যে ২১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মুদ্রণ কাগজ ও ২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন আর্ট কার্ড ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ১৬১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আবাসন পল্লী এলাকায় ৬ ইউনিট বিশিষ্ট ২টি ২০ তলা ভবন ও একটি ১৬ তলা ভবন নির্মাণে পৃথক ৩টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ৫১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিভাগের ৬৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো চারটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
ইন্ডিয়ান ডলার ক্রেডিট লাইন- এর অধীনে বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনা থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের পরামর্শক সেবার বিপরীতে প্রদত্ত অতিরিক্ত সেবা ক্রয়ের জন্য অতিরিক্তি ১০ কোটি ৬২ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যুৎ

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ