Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ নিশ্চিতের ম্যাচ

| প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের আজকের ম্যাচটা তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগে নিজেদের আরেকটু ঝালিয়ে নেওয়া ছাড়া কিছুই নয়। দলের অধিনায়ক টম লাথামও জানিয়েছেন তেমনি। তবে মাশরাফিদের কাছে ম্যাচটি আলাদাভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে অন্য কারণে। এই ম্যাচকে ঘিরে টাইগারদের সামনে চলে আসছে অনেক হিসাব-নিকাশ।
নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলেই সেই হিসাবটা অনেকাংশেই মিলিয়ে নিতে পারবে টাইগাররা। সেক্ষেত্রে আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাংকিং-এ সাত নম্বর থেকে ছয়ে উঠে আসবে বাংলাদেশ। তাতে অনেকাংশেই নিশ্চিত হবে ২০১৯ আইসিসি বিশ্বকাপে টাইগারদের সরাসরি অংশগ্রহণ। মাররাফি-সাকিবদের জন্য আজকের ম্যাচটি তাই বিশ্বকাপ নিশ্চিতেরও।
বর্তমানে ৯১ রেটিং নিয়ে আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাংকিং-এ সপ্তম স্থানে রয়েছে টাইগাররা। আজ নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে বাংলাদেশের রেটিং হবে ৯৩। ষষ্ঠ স্থানে থাকা শ্রীলংকার রেটিংও ৯৩। তবে ভগ্নাংশের হিসাবে শ্রীলংকাকে টপকে ষষ্ঠস্থানে উঠে যাবে বাংলাদেশ। সপ্তমস্থানে নেমে যাবে শ্রীলংকা।
অষ্টম স্থানে থাকা পাকিস্তানের রেটিং ৮৮, নবম স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৭৯। বিশ^ ক্রিকেটের নির্বাহী সংস্থা আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র‌্যাংকিং-এর সেরা আট দল সরাসরি খেলবে ২০১৯ বিশ্বকাপে। তাই সেপ্টেম্বরের আগে শ্রীলংকা ও পাকিস্তান কোনভাবে বাংলাদেশের রেটিং টপকে গেলেও, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য বাংলাদেশকে টপকানোটা দুরহ হবে। তাই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্র অনেকাংশেই নিশ্চিত করার লক্ষ্য বাংলাদেশের।
তবে হেরে গেলে যে টাইগারদের খুব বেশি ক্ষতি হবে তা না। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলার ফলগুলোর দিকে নজর রাখতে হবে বাংলাদেশকে। তারপরও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্রায় নিশ্চিত করার সুযোগটা নিশ্চিয় হাতছাড়া করতে চাইবে না মাশরাফির দল।
ফাইনালহীন ত্রিদেশীয় সিরিজে লিগ পর্বে ৩ ম্যাচে অংশ নিয়ে সবক’টিতে জিতে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহে রেখে আগেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে কিউইরা। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১টি করে জয়, হার ও পরিত্যক্ত ম্যাচে মোট ৬ পয়েন্ট অর্জন করে রানার্স-আপ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ৪ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৩টি হার ও ১টি পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ মাত্র ২ পয়েন্ট। টেবিলের তলানিত থেকেই দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করেছে আইরিশরা।
তাছাড়া সামনেই কড়া নাড়ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় সাথে থাকলে টুর্নামেন্টে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই নামতে পারবে বাংলাদেশ। সিরিজটা আয়ারল্যান্ডের সাথে পয়েন্ট ভাগাভাগি ও পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে হলেও এরপর স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড উড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুরের দুর্দান্ত নৈপুণ্যের পর ওপেনার সৌম্য সরকারের ৬৮ বলে অপরাজিত ৮৭ রান ৮ উইকেটে জয় এনে দেয় মাশরাফি-মুশফিকুরদের। ২৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ঐ ম্যাচের সেরা হয়েছেন মুস্তাফিজ। ‘দ্য ফিজ’কে নিয়ে তাই প্রশংসা ঝড়েছিলো বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির কন্ঠে, ‘দুর্দান্ত বোলিং করেছে মুস্তাফিজ। শুধুমাত্র আজই নয়, আড়াই বছর ধরে ও এ কাজটা ভালোভাবেই করছে। আশা করি ধারাবাহিকভাবে ভালো করবে ফিজ।’
আজও নিশ্চয় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষের সেই মুস্তাফিজকেই চাইবেন মাশরাফি। সাথে সৌম্যও যদি জ্বলে উঠতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। তাছাড়া সৌম্যের সামনে সুযোগ এক দুর্দান্ত রেকর্ড দখলে নেয়ার। ওয়ানডেতে আর মাত্র ৭৫ রান করতে পারলেই এক হাজার রানের মাইলফলক পূর্ণ করবেন বাঁহাতে এই ওপেনার। তবে আগামী তিন ম্যাচের আগে এই রান সংগ্রহ করতে পারলে বাংলাদেশের দ্রæততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে এক হাজার রান করবেন তিনি।
আয়ারল্যান্ডের ন্যায় খেলতে পারলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও জয় সম্ভব বলে মনে করেন মাশরাফি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর ম্যাশ বলেছিলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা জিততে চাই। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি, সেভাবে খেলতে পারলে কিউইদের বিপক্ষেও জয় পাবো।’ Ñবাসস

রেকর্ড ডাকছে সৌম্যকে
২০০৪ সালে অভিষিক্ত শাহরিয়ার নাফীস নিজের ২৯ তম ওয়ানডে ম্যাচে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এক হাজার রান পূর্ণ করে হয়ে যান সবচেয়ে কম ম্যাচে ওয়ানডেতে এক হাজার রান করা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। গত এগারো বছরে এ রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। ইমরুল কায়েস ও নাসির হোসেন ৩৪ ম্যাচে এক হাজার রান পূর্ণ করেন।
২৬ ওয়ানডেতে ৪২.০৪ ব্যাটিং গড়ে ৯৭৫ রান করেছেন সৌম্য সরকার। অর্থাৎ আগামী দুই ম্যাচে ৭৫ রান করলেই নাফীসকে টপকে যাবেন তিনি। নিউ জিল্যান্ডের জেসি রাইডার, ইংল্যান্ডের অ্যালেস্টার কুক ও ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনিরও এক হাজার রান করতে লেগেছিল ২৯ ম্যাচ। দুই ম্যাচে ৭৫ রান করে ফেললে শুধু শাহরিয়ার নাফীস নয়, তাদেরকেও টপকে যাবেন সৌম্য।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ম্যাচে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার রেকর্ড পাঁচ জনের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডস, ইংল্যান্ডের জোনাথন ট্রট ও কেভিন পিটারসেন, দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক ও পাকিস্তানের বাবর আজমের। তাদের প্রত্যেকের এই মাইলফলক স্পর্শ করতে লাগে ২১টি ম্যাচ। Ñবিডিক্রিকটাইম


আইসিসির সর্বশেষ ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিং
র‌্যাংকিং দল রেটিং
১ দক্ষিণ আফ্রিকা ১২৩
২ অস্ট্রেলিয়া ১১৮
৩ ভারত ১১৭
৪ নিউজিল্যান্ড ১১৬
৫ ইংল্যান্ড ১১০
৬ শ্রীলংকা ৯৩
৭ বাংলাদেশ ৯১
৮ পাকিস্তান ৮৮
৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৯
১০ আফগানিস্তান ৫২
১১ জিম্বাবুয়ে ৪৬
১২ আয়ারল্যান্ড ৪১



 

Show all comments
  • কাওসার আহমেদ ২৪ মে, ২০১৭, ৩:৫২ এএম says : 0
    আশা করি আজকে বাংলাদেশ জিতবে।
    Total Reply(0) Reply
  • ২৪ মে, ২০১৭, ৮:৪৫ এএম says : 0
    ban vs new not ire
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ