Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো করবে বাংলাদেশ’

| প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : গত দুই আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দর্শক সারিতে। অথচ ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের মাটি থেকেই শুরু হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পথচলা। টাইগার ক্রিকেটের জন্য যা গর্ব করার মতো বিষয়। তখন অবশ্য এটিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নয়, বলা হতো আইসিসি নক আউট ট্রফি। সেবার প্রতিযোগিতার মূলপর্বে না খেললেও এই টুর্নামেন্ট দিয়েই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
২০০৯ ও ২০১৩ সালের পর আবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পর এটিই ৫০ ওভারের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এই বাংলাদেশ প্রতিযোগীতাটির গুরুত্ব তাই অনেক। এবারই প্রথম র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষ আটে থেকে টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স এবং দলে তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের দারুণ সামঞ্জস্যতার কারণে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে আশাবাদী অনেকেই। তাছাড়া ভালো কিছুর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) কোন কার্প্যণ্য করেনি। আসর শুরু হওয়ার আগে ইংলিশ কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে আয়ারল্যান্ডের সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজ, তারও প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সাসেক্সে দলের সফল কন্ডিশনিং ক্যাম্প। সব মিলে বাংলাদেশের কাছ থেকে ভালো একটা ফল আশা করা যেতেই পারে। আশাবাদী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনও। তিনি মনে করেন আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো খেলবে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিশেষ এই দুত আইসিসির ওয়েবসাইটে লেখা নিজের এক কলামে এমন আশা ব্যক্ত করেছেন।
ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে আগামী ১ জুন ইংল্যান্ডের মাটিতে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই আসর। আর এ আসর দিয়েই গত দুই আসরে অংশ না নেওয়ার হতাশা কাটাবে বাংলাদেশ। এমনটিই মনে করেন বাংলাদেশের এই নির্বাচক, ‘শেষ দুই বছরে আমাদের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। ঘরের মাঠে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছি। আর র‌্যাংকিংয়ের ভালো অবস্থানে থাকায় টুর্নামেন্টে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’
তবে ইংল্যান্ডে মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়ায় কন্ডিশন নিয়ে কিছুটা চিন্তিত বাশার। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে বাশার বলেন, ‘সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ এবং মাশরাফিরা অনেক অভিজ্ঞ। তারা দলে দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। সঙ্গে রয়েছে মুস্তাফিজ-সৌম্যদের মত তরুণরা। সব মিলিয়ে তারা বাংলাদেশকে অনেকদূর এগিয়ে নেবে।’
এছাড়া ইংল্যান্ডের উইকেটও প্রভাবকের ভুমিকা রাখতে পারেন বলে মনে করেন বাশার। তাই ভালো বোলিংয়ের উপর বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নির্ভর করছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘ইংল্যান্ডের উইকেটের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে। যেহেতু ম্যাচগুলো শুরু হবে জুনের প্রথম দিকে আর যদি শুষ্ক মৌসুম থাকে তাহলে স্পিনারদের কাজটা সহজ হবে। তাছাড়া আমাদের যে পেস আক্রমণ আছে তা বিশ্বসেরা দলকেও ভোগান্তিতে ফেলার সামর্থ্য রাখে। আমি বিশ্বাস করি, মুস্তাফিজ, মাশরাফি, তাসকিন ও রুবেলরা নিজেদের কাজটা ঠিকভাবেই করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে। এই সিরিজটা ইংলিশ কন্ডিশনটা বুঝে উঠতে দারুণ সাহায্য করবে। দলটিতে দারুণ সব ব্যাটসম্যান ও বোলার আছে। তাই ব্ংালাদেশের ভালো খেলার বিষয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ