Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দ. কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্কের বিচার

| প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগ
ইনকিলাব ডেস্ক : দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাই-এর বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রিজন ভ্যানে করে তাকে আদালতে আনা হয়, মার্চে গ্রেপ্তারের পর থেকে এই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন তিনি, এ সময় তার হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। পার্কের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তিনি কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণবিক্ষোভ শুরু হলে মার্চে তাকে অভিশংসিত করা হয়। নিজের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী চোয়ি সুন সিলের সঙ্গে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে স্যামসংসহ দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম কয়েকটি কোম্পানিকে রাজনৈতিক সুবিধা দেয়ার বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে কারাগারে যাওয়া এই শীর্ষ রাজনীতিবিদকে আদালতে তার পেশা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, বেকার। একই মামলায় চোয়ির বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তিনিও এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আজীবনের বান্ধবী চোয়ির সঙ্গে আদালতের কাঠকাঠগড়ায় পাশাপাশি বসে থাকার সময় তারা কোনো কথা বলেননি, এমনকি পরস্পরের দিকে একবার তাকিয়েও দেখেননি। কয়েদিদের পোশাকের বদলে কালো একটি স্যুট পরা ছিলেন পার্ক। তার বুকে লাগানো একটি ব্যাজে ৫০৩ নাম্বারটি লাগানো ছিল, এটি তার কয়েদি নাম্বার। তারা চুলে ক্লিপ লাগানো ছিল, সেগুলো আদালত থেকে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, তার নিজের ক্লিপগুলো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বিবেচনায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পার্ক গুয়েন হাইকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বলপ্রয়োগ ও সরকারি গোপন তথ্য ফাঁসসহ ১৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে। দক্ষিণ কোরীয় গণমাধ্যমের খবর, তার বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশীট প্রায় এক লাখ ২০ হাজার পৃষ্ঠার। কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, নিজের বান্ধবীর সঙ্গে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে দুজনে কোটি কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। দুর্নীতির দায়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়া দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টদের মধ্যে পার্ক তৃতীয়, কিন্তু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়া প্রথমজন তিনি। তার আগের দুজন সামরিক বাহিনী থেকে আসা একনায়ক ছিলেন। দুর্নীতির দায়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজার বিধান আছে। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ