Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নজরুল ছিলেন বিপ্লবী সাহিত্যের প্রাণপুরুষ : নজরুল সংগীত শিল্পী খালিদ হোসেনকে নজরুল পদক প্রদান

তমদ্দুন মজলিসের আলোচনা সভায় বক্তারা

| প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় কক্তাগণ বলেছেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিপ্লবী সাহিত্যের প্রাণ পুরুষ। সর্বময় গুণে গুণান্বিত এই ব্যক্তিকে আমরা সঠিকভাবে কদর করতে পারছি না। জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফডিসিতে নজরুলের কোন নামফলক নেই। বাংলাদেশের সংবিধানেও নজরুলের জাতীয় কবির স্বীকৃতি নেই। জাতি হিসাবে আসলেই এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।
গত শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে (নিচ তলায়) ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের স্থপতি সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় কক্তাগণ এ কথা বলেন।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ১৯২২ সালে ধুমকেতু পত্রিকায় সমগ্র ভারতবর্ষের পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন কাজী নজরুল ইসলাম। বিপ্লবী সাহিত্যের মাধ্যমে তৎকালীণ সরকারকে কটাক্ষ করায় তাকে কারারুদ্ধ করা হয়।
বক্তারা বলেন, কারারুদ্ধ হওয়ার পরও তিনি তার লেখা বন্ধ করেননি বরং আরো বিপ্লবীভাবে লিখেছেন, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট ভেঙ্গে ফেল কররে লপাট রক্ত জমাট শিকল পুজার পাষাণ ভেদি, ও ‘শিকল পরার ছলরে মোদের এই শিকল পরার ছল’সহ অসংখ্য গান ও কবিতা। তিনি ভিবিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিপ্লবী লেখনির মাধ্যমে বাংলার নির্যাতিত মানষকে ইংরেজ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য প্রেরণা যুগিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, সাহিত্যের এমন কোন অধ্যায় নেই যেখানে নজরুলের পদচারণা ছিল না। তিনি একাধারে কবি, লেখক, গীতিকার, গায়ক, চলচ্চিত্রকার, নাট্যকার, অভিনেতা ও সাংবাদিকতায় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে নজরুলের সাহিত্য চর্চা করা উচিৎ। নজরুলের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হলে জাতির সাংস্কৃতিক ভাগ্যাকাশে অন্ধকার নেমে আসবে।
সংগঠনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর, অধ্যাপিকা চেমন আরা, অধ্যাপক মুহম্মদ মতিউর রহমান, নজরুল গবেষক শফি চাকলাদার, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন খান, ড. মোহাম্মদ একরামুল ইসলাম, সৈয়দ শামীম সিরাজী ও অধ্যাপক নুরুজ্জামান চৌধুরী ওরফে মুসাফির প্রমুখ।
এসময় নজরুল সাহিত্যের বিপ্লবী রূপ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক, প্রবীণ সাংবাদিক শেখ দরবার আলম।
এছাড়াও বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী খালিদ হোসেনকে নজরুল সংগীতে আবদান রাখার জন্য নজরুল পদক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণও শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নজরুল

২৯ আগস্ট, ২০২২
২৬ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ