পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সরকার হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমান হলো দেশে কোনো রাজনীতি নেই। যে রাজনীতি আছে সেটা অপরাজনীতি।
গতকাল শনিবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি হল রুমে জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশের কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নীতি ও কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনার ও গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি টিচার্স।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা এই হীনমন্যতা, ছোট মনের রাজনীতি, স্পর্শকাতরতা এবং প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান চাই। আমরা ২০৩০ ভিশনে উল্লেখ করেছি, বাংলাদেশে নতুন সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনা হবে। হারিয়ে যাওয়া ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবো। দেশে এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলবো যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম আরো সুন্দর সমৃদ্ধ দেশের অধিকারী হতে পারে।
ঘোষিত ভিশন বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিএনপির জেতা প্রয়োজন দাবি করে মওদুদ আহমদ বলেন, যদি এদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে এবং খালেদা জিয়ার মাধ্যমে বিএনপি সেই ২০৩০ বাস্তবায়ন করবে।
মওদুদ বলেন, জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচির উপর ভিত্তি করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা দলের ২০৩০ ভিশন জাতিকে উপহার দিয়েছেন। এতে জিয়াউর রহমানের চিন্তা, চেতনা ও ধ্যান ধারণা রয়েছে।
ইভিএম পদ্ধতি সম্পর্কে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন পর্যন্ত যন্ত্র দিয়ে ভোট গ্রহণের বিষয়ে পরিপক্ক হয়ে ওঠেনি। আমাদের মতো একটি দেশে যারা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের চিন্তা করছে তারা জনগণকে ভোটদানে বঞ্চিত, বিরত রাখতে এই ধরণের কৌশল গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আগেও বলেছি এখনও বলছি– বিএনপি ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না। বিএনপি স্বচ্ছ ব্যালট পেপার এবং ব্যালট বাক্স ব্যবহার করে নির্বাচন দেখতে চায়। শুধু তাই নয় বিএনপি আগামী দিনে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে যেখানে একদলীয় কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে এমন একটি সরকারের অধীনে যে সরকারের কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ থাকবে না এবং সেই নির্বাচনে বিএনপি সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করবে।
প্রফেসর ড. মো. ইদ্রিস মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।