নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : জায়গা নেই, নির্মাণের অর্থেরও জোগাড় নেই। অথচ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের নামে অ্যাকাডেমি নির্মাণের তোড়জোর শুরু করছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন। প্রস্তাবিত শেখ কামাল অ্যাথলেটিক্স অ্যাকাডেমির কার্যক্রম শুরু করতে আগামী ২৬ মে এক অনূষ্ঠানের আয়োজন করেছে তারা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদস্থ (এনএসসি) পুষ্পদাম চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে প্রধান অতিথি থেকে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। এসময় বিশেষ অতিথি থাকবেন উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
শেখ কামাল অ্যাথলেটিক্স অ্যাকাডেমি নির্মানের স্বপ্ন দীর্ঘদিনের। শুরুতে এই স্বপ্ন দেখেন অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: ইব্রাহিম চেঙ্গিস। তার দায়িত্বের মেয়াদে গত বছর এই অ্যাকাডেমি নির্মানের সহায়তা চেয়ে চেঙ্গিস নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের কাছে প্রস্তাব রেখেছিলেন। তখন শামীম ওসমানের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাকাডেমি নির্মাণের জন্য শীতলক্ষ্যার পাড়ে তিনি জমিও চেয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য চেঙ্গিসকে কথা দিয়েছিলেন অ্যাকাডেমি নির্মাণের জন্য সব রকম সহায়তা দেবেন তিনি। বর্তমানে চেঙ্গিস দায়িত্বে না থাকলেও এবার সেই স্বপ্ন দেখছে অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের নতুন অ্যাডহক কমিটি। তারা শেখ কামাল অ্যাথলেটিক্স অ্যাকাডেমি নির্মাণের জন্য এনএসসি’র পুরাতন ভবন কিংবা কমলাপুরস্থ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে জায়গা চেয়েছে। অ্যাকাডেমির কার্যক্রম শুরু করতে ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি ২৮ কোটি টাকার বাজেটও জমা দিয়েছে এনএসসি’তে। জমি এবং অর্থ পাওয়ার কোন খবর এখন পর্যন্ত তাদের কাছে নেই। তারপরও বসে থাকতে রাজি নয় ফেডারেশন। অদৃশ্য কারণে তড়িঘরি করে হলেও এই অ্যাকাডেমি নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করতে চায় তারা। এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সাধারন সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু বলেন, ‘আমাদের আশা খুব শিঘ্রই জায়গার ব্যবস্থা করবে এনএসসি। অ্যাকাডেমি নির্মাণের জন্য যে বাজেট আমরা দিয়েছি তাও পাশ হবে এ প্রত্যাশা আমাদের। তাই বসে না থেকে কার্যক্রম শুরু করতে চাচ্ছি। উদ্বোধনের দিনই জানাতে পারবো অ্যাকাডেমির কার্যক্রমগুলো কিভাবে হবে। প্রথম আমরা করবো কোচেস ও জাজেস রিফ্রেশিং কোর্স। তারপর অ্যাথলেটদের নিয়ে চলবে আবাসিক কার্যক্রম।’ অ্যাকাডেমির কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই সংবর্ধনা দেয়া হবে ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া অ্যাথলেট ও সংগঠকদের।
এদিকে আগামী ৬ থেকে ৯ জুলাই ভারতের উড়িষ্যায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিন্ড চ্যাম্পিয়নশিপ। এ আসরে বাংলাদেশও অংশ নেবে। যার জন্য চলতি মাসেই নাম এন্ট্রি করতে হবে। ৩০ মে এন্ট্রি পাঠানোর শেষ দিন। মন্টুর বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক ভাবে ১৫ জন অ্যাথলেটকে বাছাই করেছি এশিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিন্ড চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য। তবে এটাই চ‚ড়ান্ত নয়। এন্ট্রি পাঠানোর আগে আরেকটি উম্মুক্ত ট্রায়াল হবে। সেখানে এই ১৫ জন ছাড়াও আগে যারা অংশ নেননি বা আবার নিতে চান তাদের সুযোগ দেয়া হবে। এই ট্রায়ালের পর চুড়ান্ত ক্যাম্পের জন্য অ্যাথলেট নির্বাচন করা হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।