রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা ভূমি অফিস সহকারী হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়েছে। হুমায়ূন কবীরের প্রথম স্ত্রী নাজমা আক্তার স্বর্ণা মামলাটি দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামি হুমায়ূন কবীর জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ছোট আলমপুর গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র। বর্তমানে হুমায়ূন কবীর মুরাদনগর উপজেলা ভূমি অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, হুমায়ূন কবীর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা ভূমি অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন জমি-জমার, কাগজপত্র সংক্রান্তে ভূমি অফিসে গেলে দাউদকান্দি উপজেলার উত্তর সতানন্দি গ্রামের অধিবাসী দুই সন্তানের জননী নাজমা আক্তার স্বর্ণার সাথে পরিচয় হয় হুমায়ূন কবীরের। সিঙ্গাপুর প্রবাসী স্বামী স্বর্ণা ও তার দুই সন্তানের দীর্ঘদিন কোনো খোঁজখবর না নিয়ে আত্মগোপনে থাকেন। আর সুযোগটিকেই পুঁজি করে হুমায়ূন কবীর সুখ-শান্তির প্রলোভনে সখ্যতা গড়ে তুলে স্বর্ণার সাথে। ফুসলিয়ে স্বর্ণাকে দিয়ে তার স্বামীকে তালাক প্রদানে বাধ্য করেন হুমায়ূন কবীর। অবশেষে হুমায়ূন কবীর-স্বর্ণার দাম্পত্য জীবন শুরু করে এক পর্যায়ে কৌশলে দাউদকান্দি পৌর এলাকায় তার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন হুমায়ূন কবীর। এরইমধ্যে হুমায়ূন কবীর ইসরাত জাহান শান্তা নামের এক মহিলাকে বিয়ে করে ঘরে তোলেন। হুমায়ূনের অসৎ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে স্বর্ণা অবগত হলে তার ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। এ ঘটনায় হুমায়ূন কবীর ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ইসরাত জাহান শান্তাসহ চারজনকে আসামী করে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন স্বর্ণা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।