Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দুই ফ্রন্টে যুদ্ধের আশঙ্কা ভারতের

| প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তান ও চীনের মোকাবিলায় একই সঙ্গে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে হতে পারেÑ এই আশঙ্কায় ফ্রান্সের কাছ থেকে সংগ্রহ করা রাফালে জঙ্গিবিমানগুলো হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ)। এই দুই অঞ্চলে জঙ্গিবিমানগুলো মোতায়েন করা হলে তা বিমান বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত অবস্থায় রাখবে বলেও মনে করে তারা। ইন্ডিয়াটুডে.ইন-এর এক রিপোর্টে গত বুধবার বলা হয়, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি এবং দেশটির সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতার পাশাপাশি ভারতের সীমান্ত এলাকায় চীনের সামরিক মহড়া বৃদ্ধির কারণে আইএএফ রাফালে জেটগুলো হরিয়ানার আম্মালা ও পশ্চিমবঙ্গের হাশিমারায় মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যে ৩৬টি রাফালে জঙ্গি বিমান কেনার জন্য ভারত ২০১৬ সালে ফ্রান্সের ডুসাল্ট এভিয়েশনের সঙ্গে চুক্তি করে। এই জঙ্গিবিমানগুলো দেশটির পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তে জরুরি যুদ্ধপ্রস্তুতির চাহিদা মেটাবে। একজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়, ১৮টি জঙ্গি বিমানের একটি স্কোয়াড্রন আম্বালায় মোতায়েন করা হবে। আরেক স্কোয়াড্রন মোতায়েন করা হবে হাশিমারায়। এতে দুই ফ্রন্টের প্রয়োজন পূরণ হবে। রিপোর্টে আরো বলা হয়, ভারতের পূর্ব ও উত্তর সীমান্তে চীনা সৈন্যদের টহল বৃদ্ধি এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনী দুই ফ্রন্টে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই লক্ষ্যে দুই ফ্রন্টেই অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এর আগে আইএএফ রাফালে জঙ্গিবিমানের একটি স্কোয়াড্রন উত্তর প্রদেশের শরশোয় বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতায় ওই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। এরপর আম্বালাকে বেছে নেয়া হয়েছে। এই ঘাঁটিকে কয়েক স্কোয়াড্রন পুরনো জাগুয়ার জঙ্গিবিমান রয়েছে। অন্যদিকে পূর্ব ফ্রন্টে হাশিমারা বিমান ঘাঁটি চীন সীমান্তের অনেক কাছে। এখানে মোতায়েন পুরনো মিগ ২৭ ফাইটারগুলো বাতিল করা হবে। প্রধানমন্ত্রী দফতর ফ্রান্সের কাছ থেকে জঙ্গিবিমানগুলো কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে থেকেই আইএএফ চীনা ফ্রন্টের ওপর জোর দিয়ে আসছিলো। দূরপাল্লার ক্ষমতা থাকায় এখানে রাফালের মতো ফাইটার মোতায়েন করা প্রয়োজন বলে তারা যুক্তি দেখায়। ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে যেসব এসইউ-৩০ এমকেআই ফাইটার কিনছে সেগুলো থেকে রাফালে ফাইটারের ক্ষমতা বেশি বলে আইএএফ মনে করে। অপরদিকে, চীনের পিএলএ’র বিমান ঘাঁটিগুলো তিব্বত উপত্যকার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত। নিকটতম ঘাঁটিটি ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ফরাসি বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে ভারতের জন্য জঙ্গিবিমানগুলো তৈরি শুরু করেছে। ২০১৯ সাল থেকে এগুলোর সরবরাহ শুরু হতে পারে। পূর্ব ও পশ্চিম ফ্রন্টে পুরনো জঙ্গিবিমানগুলো বদলের চেষ্টা করছে ভারত। মিগ-২১ এর বদলে রাশিয়ার কাছ থেকে পাওয়া সুখই-৩০ ফাইটার মোতায়েন করা হচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে যে জঙ্গি বিমান পাওয়া যাবে তা নিয়ে এখন কেন তোড়জোড় সেটি অবশ্য ব্যাখ্যা করে বলা হয়নি। সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ