পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719646625](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ভুল চিকিৎসার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুরের বিষয় তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডাক্তারের জন্য রোগী মারা গেলে হাসপাতাল ভাংচুর কেন?
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় রাজধানীর রমনা গ্রীণ রেস্তোরাঁয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল শাখার ছাত্র লীগ নেত্রীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে এ কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর কেন হবে? কেন অবরোধ হবে? একটা মৃত্যর প্রতিবাদ করতে গিয়ে অবরোধে আটকা পড়া মূমুর্ষূ রোগী মারা গেলে তখন কী হবে?
তিনি বলেন, ডাক্তারের জন্য রোগী মারা গেলে শাস্তি পাবে ডাক্তার, হাসপাতালে কেন ভাংচুর হবে? প্রতিবাদের নামে হাজার হাজার মানুষকে কষ্ট দেয়া চলবে না।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের জন্য দলের ভেতরের ষড়যন্ত্রকারীদের শেখ হাসিনা দায়ী করলেও তখন বিতর্কিত ভূমিকা পালনকারীদের এখন সঙ্গে রাখার কারণ জানতে চেয়েছেন বিএনপি নেতা রিজভী। সাংবাদিকরা তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এগুলোর প্রতিক্রিয়া দেবে হাছান, তার ওপরে হানিফ, আরো উপরে আমি দিব।
হাওর অঞ্চলের দুর্গত মনুষের ত্রাণ নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাওরে গিয়েছেন কি না তার প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা ঢাকায় বসে এতো বড় বড় কথা বলছেন। তাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) যিনি তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, তিনি কি একবারও হাওরে গিয়েছেন।
কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একবার হাওর অঞ্চলে গিয়েছিলেন। তিনি দুর্গত মানুষদের কোনো সাহায্য দেননি। যারা সেখানে সাহায্য নিতে এসেছিল তারা খালি হাতে ফিরে গেছেন। আসলে তিনি গিয়েছিলেন সেখানে ফটো সেশনের জন্য। এরপর ঢাকায় এসে এটা নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যে গণতন্ত্রের কথা বলে, আসলে তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ‘ভূতের মুখে রাম নাম। তারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলে। তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিলো রাতের বেলায় কার্ফিউ আর দিনের বেলা খাল কাটা।
বিএনপির গণতন্ত্রকে ম্যাজিকের তাস উল্লেখ করে “২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন তারা বর্জন করল গণতন্ত্র উদ্ধার করবে বলে। তখন তারা কত মানুষ পুড়িয়ে মারল। তারা ১৬৫ জন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করল। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালালো। এর আগে হেফাজতের সমাবেশ দেখে খালেদা জিয়া গদগদ হয়ে ঢাকাকবাসীকে তাতে যোগ দিতে আহŸান জানালেন। এর পর বায়তুল মোকররমে মসজিদে আমরা আগুন জ্বলতে দেখলাম।
তিনি বলেন, কোরআন শরীফ পুড়লো। এটা কি বিএনপির গণতন্ত্র? পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ মারা কি তাদের গণতন্ত্র? তাদের গণতন্ত্র আসলে ম্যাজিকের তাস। কথায় কথায় রং বদলায়। কখনো বিবি, কখনো গোলাম।
ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্র লীগের নেতাদের আকর্ষণীয় হতে হবে। মেধা, বুদ্ধি, যোগ্যতা, দক্ষতা দিয়ে তাদের আকর্ষণীয় হতে হবে। ছাত্র লীগের নেতাকর্মীদের এমন কিছু করা যাবে না যাতে শেখ হাসিনার কষ্ট হয়। ছাত্র লীগের দুই এক জনের খারাপ আচরণে শেখ হাসিনার উন্নয়ন, অর্জন যেনো নষ্ট না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখাতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।