Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্প-রাশিয়া যোগসাজশ তদন্তে মুলার

এফবিআইয়ের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন এক যুগ

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার সম্ভাব্য প্রভাব এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সঙ্গে মস্কোর কথিত যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত পরিচালনায় বিশেষ কাউন্সেলের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক এফবিআই প্রধান রবার্ট মুলার। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের ডেমোক্রেট ও কিছু রিপাবলিকান সদস্যের স্বাধীন তদন্তের দাবির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত বুধবার মুলারের নাম ঘোষণা করে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। পেশায় আইনজীবী মুলার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন এক যুগ। এ তদন্তে তার নাম ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, বাইরে থেকে কাউকে এই তদন্তে আনার এই সিদ্ধান্ত আনা হয়েছে জনস্বার্থে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিশ্বাস, গত বছরের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল রিপাবলিকানদের পক্ষে নিজে কাজ করেছিল রাশিয়া। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছিলেন এফবিআইয়ের সাবেক প্রধান জেমস কোমি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে কোমিকে বরখাস্ত করার পর একজন বিশেষ প্রসিকিউটর নিয়োগের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। কংগ্রেসে ডেমোক্রেট দলীয় সদস্যদের এই স্বাধীন তদন্তের দাবি ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির কিছু সদস্যেরও সমর্থন পায়। ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস বিশেষ কাউন্সেল হিসেবে মুলারের নাম ঘোষণার পর ঘণ্টাখানেক পর এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, তিনি এই বিষয়টির দ্রæত সমাধান চান। ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন, নতুন এই তদন্তেই প্রমাণ হবে যে তিনি এবং তার দল কোনো অপরাধে জড়ায়নি। অবশ্য হোয়াইট হাউজ এর আগে বলেছিল, এই তদন্তের নেতৃত্বে বাইরের কাউকে প্রয়োজন নেই। ট্রাম্পের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা যা জানি, সুচারু তদন্ত হলে সেটাই নিশ্চিত হবে। আমার প্রচার দলের সঙ্গে বিদেশি কারও কোনো সংস্রব ছিল না। ট্রাম্প বলেন, আশা করছি, আমরা এখন পর্যন্ত যা জানি, তদন্তে তাই উঠে আসবে। আমার নির্বাচনী প্রচার কাজের সঙ্গে বিদেশি যোগাযোগের কোনো বিরোধ নেই। তবে এজন্য বিচার বিভাগ থেকে কাউকে নিয়োগের কোনো প্রয়োজন ছিল না বলেও তিনি মনে করেন। সিনেটের ডেমোক্র্যাট দলীয় নেতা চাক শুমার বলেন, এ কাজের জন্য যথার্থ ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রবার্টের হাত ধরে তদন্ত কাজ দ্রæত এগিয়ে যাবে। গত ৯ মে এফবিআইয়ের প্রধানের পদ থেকে কোমিকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। কারণ হিসেবে তিনি জানান, নির্বাচনের বছরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্তে কোমির ভূমিকার কারণে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কোমিকে এফবিআইয়ের পরিচালক পদে ২০১৩ সালে নিয়োগ দেন ট্রাম্পের পূর্বসূরি বারাক ওবামা। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ পদে তার বহাল থাকার কথা। কিন্তু মাত্র চার বছরের মাথায় তাকে বরখাস্ত করা হল। সিএনএন, রয়টার্স, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ