মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রতি ২৫ কর্মীর মধ্যে ১ জনের বেশি মাদক গ্রহণ করেন
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ২৫ কর্মীর মধ্যে ১ জনের বেশি নিষিদ্ধ মাদক গ্রহণ করেন। গত এক যুগের মধ্যে এই হার সর্বোচ্চ। এদের মধ্যে মারিজুয়ানা গ্রহণের হার সবচে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোয়েস্ট ডায়াগনস্টিকের গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তত ৮৯ লাখ কর্মীর ড্রাগ টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ দশমিক ২ শতাংশ কর্মীর নেতিবাচক ফলাফল এসেছে। এ হার ২০১৫ সালের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি এবং ২০০৪ সালের পরে সর্বোচ্চ। এমনকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কর্মী দেশটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক নেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মার্কিন কর্মীদের মধ্যে মাদক হিসেবে মারিজুয়ানা গ্রহণের হার সবচে বেশি। ২ দশমিক ৪ শতাংশ কর্মী এ মাদক নেন। এ হার ২০১৫ সালের তুলনায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। বাস ড্রাইভার ও পাইলটদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিরাও মারিজুয়ানা গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে এ হার শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় যা দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যের সরকার বিনোদন ও চিকিৎসার জন্য মারিজুয়ানা গ্রহণের অনুমতি দিয়ে রেখেছে। তবে তা কোনো ভাবেই অভ্যাসে পরিণত করা যাবে না। তেমনই দুটি অঙ্গরাজ্য কলোরাডো এবং ওয়াশিংটন। তবে বাস্তবে এ আইনের প্রয়োগ বেশ শিথিল। পরিসংখ্যান বলছে, কলোরাডোর কর্মীদের মধ্যে এ হার রেকর্ড ১১ শতাংশ। অন্যদিকে ওয়াশিংটনে ৯ শতাংশ। দুটি অঙ্গরাজ্যেই এ হার আগের চেয়ে বেড়েছে। বাড়িয়েছে পুরো দেশের পরিসংখ্যানও। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার শিকার কর্মীরাও মাদকের পথে ঝুঁকছেন। এমন কর্মীদের দশমিক ২৮ শতাংশ কোকেন নেন। আর এ হার আগের যে কোন সময়ের তুলনায় দ্রæত বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, ২০১৫ সালে দেশটির ২৬ বছরের বেশি বয়সী মানুষদের মধ্যে ৬ দশমিক ৫ শতাংশই মারিজুয়ানা কিংবা হাশিশ নেন বলে প্রমাণ মিলেছে। আর ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এ হার সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।