পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আড়াইহাজার(নারায়ণগঞ্জ)উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের আলোচিত ৪ খুন মামলার রায়ে ২৩ আসামীর ফাঁসি দিয়েছে আদালত। দীর্ঘ ১৫ বছর পর গতকাল দুপুর ১২টায় নারায়নগঞ্জ দ্বিতীয় অতিরিক্ত দাযরা জজ কামরুন নাহার এ আদেশ দেন। এই মামলায় মোট ২৩ জন আসামীর মধ্যে ১৯ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ৪ জন আসামী পলাতক রয়েছে।
আদালতে উপস্থিত ১৯ আসামীরা হলেন - মামলার প্রধান আসামী আবুল বাশার কাশু, জহির উদ্দিন মেম্বার, আবু কালাম, ডালিম, ইয়াকুব আলী, রফিক, হালিম, রুহেল, শাহাবুদ্দিন, লিয়াকত আলী মাষ্টার, সিরাজ উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, মোহাম্মদ হোসেন, আহাদ আলী, ইউনুছ আলী, , ফারুক হোসেন, গোলাম আযম, আব্দুল হাই ও খোকন। এ মামলায় পলাতক রয়েছে আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন।
এই মামলার পলাতক ৪ জন আসামী আল- আমিন,রুহুল আমিন, তাইজুল ও হারুন।
আলোচিত এ মামলাটির বিচার কার্য চলছে নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কামরুন নাহারের আদালতে। জানা গেছে, ২০০২ সালের ১২ মার্চ আড়াইহাজার থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই বারেক, ফুফাতো ভাই বাদল, আওয়ামী লীগের কর্মী ওমর ফারুক ও কবীরকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর আগুনে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে তৎকালিন সদাসদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল সাসার কাশু ও তার লোক জন। এঘটনায় ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জালাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মোশাররফ মাস্টার জানান, কথিত ছিনতাইয়ের অভিযোগে আবুল বাশার কাশু, জহির মেম্বার ও কালামের নেতৃত্বে ১২ মার্চ সকাল ৭টায় প্রথমে জালাকান্দি গ্রাম থেকে কবিরকে ধরে নেওয়া হয়। পরে ছাত্রলীগ কর্মী বাদল এবং পাওয়ারলুম কারখানায় কাজ করা অবস্থায় তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকের ছোট ভাই বাবেককে ধরে নেয় । সবশেষ ওমর ফারুক নামের একজনকে পাশ্ববর্তী নরসিংদী সদর উপজেলার আব্দুল্লাহ কান্দী থেকে ধরে আনা হয়। তার বাড়ী আব্দুল্লাহ কান্দীতে। এরা সকলকে লক্ষিবরদী গ্রামে সমাজ কল্যাণ নামের একটি সংগঠনের অফিসে নির্মম ভাবে পিটিয়ে ও আগুনে পুড়ে হত্যা করা হয়। তিনি আরো জানান, পানি খেতে চাইলে তাদের প্র¯্রাব দেওয়া হয়েছে। সিগারেটের আগুন দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে এদের দেহ।
বিচার দেখে যেতে পারেনি বাদী :
মামলার বাদী ছিলেন নিহত বারেকের বাবা সাবেক ইউপি সদস্য আজগর আলী। মামলা চলাকালীন সময়ে তিনি মারা যান। এর পর আজগর আলী ছেলে সফিকুলকে মামলার বাদী করা হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর পর চাঞ্জল্যকর এই মামলার রায় গতকাল বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।