পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্চায়েত হাবিব : জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও ব্যবহার নিয়ে কঠোর অবস্থানে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো মৃত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের পাশাপাশি এবার মৃত নাগরিকদের তথ্য সংশোধনেরও পথ কিছুটা হলেও সহজ করা হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে। গতকার বুধবার ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, কমিশন সভায় এক মৃত নাগরিকের এনআইডির তথ্য সংশোধনের আবেদনে সম্মতি দিয়েছে ইসি। ভোটাররা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য নির্ধারিত ফি দিয়ে সংশোধন করতে পারেন। ভোটারের মৃত্যু হলে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। কিন্তু তথ্য ভান্ডারে তার তথ্য সংরক্ষিত থাকে। অতিরিক্ত সচিব জানান, মৃত ভোটারের তথ্য আগে কখনও সংশোধন করা হয়নি। স¤প্রতি এক ব্যক্তি তার প্রয়াত বাবার এনআইডির তথ্য সংশোধনের জন্য কমিশনে আবেদন করেন। বাবার মৃত্যুর পর চাকরি নির্ধারিত সুযোগ সুবিধা নেয়ার জন্য সার্ভিস বুক ও সার্টিফিকেট অনুসারে তার এনআইডির তথ্য ঠিক করার আবেদন করেছেন তিনি। এ অবস্থায় সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে যৌক্তিক কারণে ওই ব্যক্তির তথ্য সংশোধনে সম্মতি দিয়েছে ইসি। তবে কোনোভাবেই যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো মৃত ব্যক্তির এনআইডি সংশোধন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, দেশের ১০ কোটি ১৭ লাখের বেশি ভোটারের তথ্য জমা আছে ইসির তথ্য ভান্ডারে। এনআইডিতে বয়স কমিয়ে চাকরির মেয়াদ বাড়ানো, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়া, নাম সংশোধন করে উত্তারাধিকারের সুবিধা ভোগের জন্য একটি চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ রয়েছে ইসির কাছে। এক্ষেত্রে কমিশন তদন্ত সাপেক্ষে এনআইডি সংশোধন করছে। মৃত ভোটারের তথ্য সংশোধনকে কেন্দ্র করে নতুন করে যাতে ঝামেলা পোহাতে না হয় সে বিষয়েও নজর রয়েছে বলে জানান তারা। ইসির উপসচিব বলেন, ভোটারদের তথ্য সংশোধন ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ হচ্ছে। নিয়মিতই হাজারো নাগরিক প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য আবেদন করছেন। ঢালাওভাবে মৃতদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ পেলে নতুন করে দুর্ভোগ বাড়বে। এক ব্যক্তির আবেদন গৃহীত হওয়ায় বিশেষ প্রয়োজনে অন্যরাও এ সুযোগ কাজে লাগতে পারবে। সার্বিক বিষয়ে আগামীতে হয়ত নতুন নির্দেশনা আসতে পারে। দেশের ১৬ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে বার্ষিক মৃত্যুর হার বিবেচনায় সর্বশেষ হালনাগাদে ভোটার তালিকা থেকে ১২ থেকে ১৫ লাখ মৃত ব্যক্তির নাম বাদ যাওয়ার কথা। অথচ তথ্য সংগ্রহের সময় ভোটার তালিকা থেকে কর্তনের জন্য পাওয়া যায় ৬ লাখ ৯১ হাজার ৬০৬ জন মৃত ব্যক্তির নাম। এ কারণে পরে মৃতদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কাজে মাঠ কর্মকর্তাদের জন্য সম্মানীও ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির এনআইডি সংশোধনের আবেদন সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কেননা ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিতভাবে প্রতিবছর ৪-৫ লাখ করে মৃতদের নাম কর্তন করা হচ্ছে। অনেকে ভুলে কর্তনের জন্য তথ্য দেয়নি। তাই ভোটার তালিকায় এখনো মৃত্যু ভোটার থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) সংশোনীর জন্য চেষ্ঠা করছেন বলে ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এরআগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল এনআইডি সংশোধনের। ওই সময়ে অনেকে নিজের বয়স কমিয়ে চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। তখন থেকেই আমরা অনেক শর্তক রয়েছি সংশোধনের কাজে। এখনো অনেকেই নতুন চাকরি নেওয়ার জন্য এনআইডি সংশোধনের আবেদন করছেন। এক্ষেত্রে কমিশন তদন্ত সাপেক্ষে এসব আইডি সংশোধন করছে। স¤প্রতি এক মৃত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য ইসিতে আবেদর করেন তার ছেলে। ওই ব্যক্তি অফিস সহায়ক পদে চাকরি করতেন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চাকরিরত অবস্থায় ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর মারা যান তিনি। কমিশনের ডাটাবেইজে তার বর্তমান স্ট্যাটাস ডেড। এই মৃত ব্যক্তির আইডি সংশোধনে তার ছেলে কমিশনে আবেদন করে। সার্ভিস বইয়ে থাকা তারিখ বদলে জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা তারিখটি বসাতে চান। তারিখটি সংশোধনের ব্যবধান তিন বছরের অর্থাৎ সার্ভিসে থাকা ৩০ অক্টোবর ১৯৬০ সাল বদলে ১ জানুয়ারি ১৯৬৩ করা। কিন্তু মৃত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের নজির নেই, শুধু নামটি কর্তন হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।