মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ওয়াশিংটন পোস্টের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রুশ সংযোগের প্রমাণ উত্থাপন করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক ও বর্তমান মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রভাবশালী ওই সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, রাশিয়ার কাছে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় তথ্য ফাঁস করেছেন বহুল বিতর্কিত এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। তবে ট্রাম্প প্রশাসন ওয়াশিংটন পোস্টের দাবিকে বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ৯ মে হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল ফাঁসের তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর একদিন পরই রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলাককে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান তিনি। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করছে, ওভাল অফিসে বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় তথ্য পাচার করেন। খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলামিক স্টেট (আইএস) সম্পর্কিত অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রকাশ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন কর্মকর্তা। গত সোমবার দেশটির ওই দুই কর্মকর্তার বরাতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্টর দায়িত্ব নেয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের হোয়াইট হাউসকে আরেকটি বিতর্কের মধ্যে জড়িয়ে ফেললেন ট্রাম্প। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের ওভাল দপ্তরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকও উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের এক মিত্রদেশের পাঠানো ওই গোয়েন্দা তথ্যগুলো ল্যাভরভের সঙ্গে শেয়ার করেন ট্রাম্প, জানিয়েছেন পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞাত ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তা। আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে এসব গোপন তথ্য রাশিয়ার সঙ্গে শেয়ার করার অনুমতি যুক্তরাষ্ট্রেকে দেয়নি ওই মিত্রদেশ। ওই দুই কর্মকর্তার মধ্যে একজন জানান, ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প যে গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনা করেন তা অত্যন্ত গোপনীয় হিসেবে শ্রেণিকরণ করা ছিল এবং তা একটি নিরাপদ প্রকোষ্ঠে রাখা ছিল যেখানে শুধু হাতেগোনা কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার প্রবেশের অনুমতি আছে। কথা বলতে বলতে ট্রাম্প স্বতঃস্ফূর্তভাবে গোয়েন্দা তথ্যগুলো প্রকাশ করে ফেলেন বলে জানান আরেক কর্মকর্তা। এর পরপরই অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা কি হয়েছে তা জানানোর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সিআইএ ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাকে ডেকে পাঠায়। এই দুই সংস্থা বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ আছে। ইচ্ছা করলে রাষ্ট্রের সবচেয়ে গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করার কর্তৃত্বও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আছে, কিন্তু এই ক্ষেত্রে যে মিত্রদেশ তথ্যগুলো দিয়েছে তাদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া ট্রাম্প এগুলো প্রকাশ করতে পারেন না, কারণ তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রদেশগুলোর দীর্ঘদিন ধরে চলা গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করার যে চুক্তি আছে তা ঝুঁকিতে পড়বে বলে জানান ওই দুই কর্মকর্তা। এসব অভিযোগকে সঠিক নয় বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ. আর. ম্যাকমাস্টার বলেছেন, যে গল্পটি আজ রাতে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে যা বলা হয়েছে তা মিথ্যা। ওয়াশিংটন পোস্ট, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।