মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারে দুই উগ্র জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ভিক্ষুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে মুসলিমবিরোধী উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্মীয় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনে বসবাসরত মুসলিমদের বাসায় জাতীয়তাবাদী প্যাট্রিয়টিক মংকস ইউনিয়ন (পিএমইউ)-এর নেতৃত্বে এক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর একদিনের মাথায় এই দুই ভিক্ষু গ্রেফতার হলেন। ভিক্ষুদের ওই অভিযানের সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এর দুই সপ্তাহ আগে পিএমইউ-র লোকেরা জোর করে মুসলিমদের দুটি স্কুল বন্ধ করে দেয়।
ইয়াঙ্গুনের মিঙ্গালার তাউং নিউন্ত জেলার পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ মেজর খিন মাউং বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এ পর্যন্ত আমরা দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ইয়াঙ্গুনের আঞ্চলিক পুলিশ নিরাপত্তা কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিয়া উইন। তিনি জানান, সা¤প্রদায়িক সহিংসতা এড়াতে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে আমরা টহল দিচ্ছি। প্রার্থনার জায়গাগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের অক্টোবরের পর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এ অভিযানের সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় অন্তত ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তবে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা নিপীড়িনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
স্থানীয় মুসলিমদের সঙ্গে মারপিটের পর সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ সাতজন বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। বেশ কিছু বৌদ্ধ ‘অবৈধ’ রোহিঙ্গা মুসলিমদের খোঁজে মিঙ্গালার তং নিয়ুন্ত এলাকায় চড়াও হয়। এই ঘটনায় সংঘাতে সেখানে অন্তত এক ব্যক্তি আহত হয়।
মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা ক্রমশই সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি বৈরি হয়ে ওঠার পটভূমিতে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী বুধবার সকালের দিকে একদল বৌদ্ধ ভিক্ষুর নেতৃত্বে কিছু জাতীয়তাবাদী ব্যক্তি ইয়াঙ্গুনের ওই এলাকায় হাজির হয়ে দাবি করে সেখানে মুসলমান রোহিঙ্গারা ‘অবৈধভাবে’ বসবাস করছে। সেখানে মারামারি শুরু হয়ে গেলে পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে হুঁশিয়ারি দিয়ে গুলি ছোড়ে। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুজন বৌদ্ধ ভিক্ষু।
সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার অপরাধে মিয়ানমারে দু’বছর পর্যন্ত কারাদÐের বিধান আছে। সা¤প্রতিক কয়েক মাসে কট্টরপন্থীরা ইয়াঙ্গুনে (সাবেক নাম রেঙ্গুন) প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে, মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে বাধা দিয়েছে এবং খুবই স¤প্রতি দুটি স্কুলকে সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বাধ্য করেছে এই অভিযোগ তুলে যে তারা অবৈধভাবে ওই স্কুল দুটিকে মসজিদ হিসাবেও ব্যবহার করছিল। সূত্র : রয়টার্স ও বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।