পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টাও : প্রতি বছরই রোজার আগে বাংলাদেশে সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রমজান মাস সামনে রেখে প্রায় দেড় মাস আগেই সব পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি সপ্তাহেই এ দাম দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে; সঙ্গে নানা অজুহাত।
চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীর বাজারে মাছ, মুরগি, সবজি থেকে শুরু করে চাল-ডাল পর্যন্ত সব ভোগ্যপণ্যের দাম এক দফা বাড়ানো হয়েছিল। মে মাসের দ্বিতীয় শুক্রবারে বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, রমজানে প্রয়োজনীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম আরও এক দফা বাড়িয়েছেন রাজধানীর ব্যবসায়ীরা।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি রসুনের দাম বাড়ানো হয়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ছোলা, চিনি, মুরগির দামও প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা হারে বাড়ানো হয়েছে। আর চাঁদাবাজি ও হাটে অনিয়ম বন্ধের আন্দোলনের পর দুই দফা বাড়ানো হয়েছে গরুর মাংসের দাম। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র শবে বরাতে চাহিদা বাড়া এবং সরবরাহ সংকটের অজুহাতে আরও এক দফা বাড়ানো হয়েছে এর দাম।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। শুক্রবারের বাজারে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৫-১০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। শসা, জিঙ্গা, ঢেঁড়স, টমোটো, বেগুন, করলা, দুন্ধল, চিচিঙ্গার কেজি প্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। শসা ৪০ টাকা, জিঙ্গা ৬০ টাকা, টমোটো ৪০, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন ৫০-৫৫ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ১০০ টাকা, আলু ১৫ থেকে ২০ টাকা, পটল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৪৫ টাকা; কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা; মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ২০ টাকা; লাউ ৪০-৬০ টাকা, জালি কুমড়া ২৫ টাকা; লেবু হালিতে ৫ টাকা বেড়ে ২০ টাকা, কাঁচকলা ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি পণ্যের মধ্যে রসুনের দাম কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। দেশি রসুন গত সপ্তাহের মতো ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হলেও ভারতীয় রসুনের দাম ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ২২-২৪ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা; পাইকারিতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ১৫-১৬ টাকা হলেও খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। তবে গত সপ্তাহের মতো ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি আদা। এছাড়া দেশি মসুর ডাল ১১০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৭৫-৯০ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা। মা ভেদে ছোলার দাম ৫-১০ টাকা বেড়ে ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খোলা চিনির পাইকারি মূল্য ৫৫-৫৭ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি ও মুদি পণ্যের মতো এ সপ্তাহে প্রায় সব ধরনের চালের দামও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে মান ভেদে চালের দাম বেড়েছে ৪-৭ টাকা। শুক্রবারের বাজারে চিনিগুড়া চাল ৭৫-৮০ টাকা, নাজিরশাইল ৫৪ টাকা, মিনিকেট ৫২ টাকা, বিআর-২৮ ৪৮ টাকা, মোটা চাল ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রমজান মাস শুরুর আগে দাম বাড়ার কাতারে যুক্ত হয়েছে মাছের বাজারও। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ দাম আরও বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। বাজারে প্রতি জোড়া মাঝারি ইলিশ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা; বড় ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কোরাল মাছ কেজি প্রতি ৬০০ টাকা; বড় চিংড়ি ৬৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৬০০ টাকা, চিংড়ি গুড়া ৪০০ টাকা; বড় তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, ছোট তেলাপিয়া ১০০-১২০ টাকা; পাবদা ৫০০ টাকা, রুই ২৪০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ টাকা, কাতলা ৩৫০ টাকা, আইস ৬০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ টাকা; বড় মৃগেল ৩০০ টাকা, ছোট মৃগেল ২০০ টাকা; কই মাছ ২০০ টাকা; মাগুর মাছ ৮০০ টাকা; শিং মাছ ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া গরুর মাংসের দাম এবার আরও এক ধাপ বাড়ানো হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৫০-৬০০ টাকা এবং খাসির মাংসা ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শবে বরাতের আগে হঠাৎ মাংসের দাম বাড়ার জন্য ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ এবং দেশি খামারিদের গরু বিক্রি বন্ধ করে দেওয়াকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া বয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা বেড়ে আজকের বাজারে ১৬৫ টাকা; পাকিস্থানি মুরগি আকার ভেদে ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইসঙ্গে রাজধানীর বাজারে ডিমের দামও কিছুটা বেড়েছে। বয়লার মুরগির লাল ডিম প্রতি হালি ২৮ টাকা ও ডজন ৮৫ টাকা; দেশি মুরগির ডিম হালি ৫৫ টাকা ও ডজন ১৬০ টাকা এবং হাসের ডিম হালি ৪০ টাকা ও ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।