Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রাদার্সে নাঈমুদ্দিন শিষ্য সুব্রত

| প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলে গেল ছয় মৌসুম ভারত ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক বর্ষীয়ান কোচ সৈয়দ নাঈমুদ্দিনের তত্ববধানেই খেলেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের ফুটবলাররা। অবশ্য আসন্ন মৌসুমে ৭৩ বছর বয়সী এই কোচকে পাচ্ছেন না তারা। নতুন ফুটবল মৌসুমে নাঈমুদ্দিন ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডানের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ায় এই শূন্যতা দেখা দিয়েছে। তবে শূণ্যস্থান পূরণ করতে ভারতীয়র বদলে ভারতীয়ই এনেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আগামী মৌসুমে নাঈমুদ্দিনের শিষ্য ভারত জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যকে প্রধান কোচের ভুৃমিকায় দেখা যাবে ব্রাদার্স ডাগআউটে। ১৯৮৪ সালে ভারতের জাতীয় যুব দলে নাঈমুদ্দিনের অধীনেই খেলেছিলেন সুব্রত। এবার দু’জনকে দেখা যাবে প্রতিপক্ষ হিসেবে। ব্রাদার্সের সঙ্গে যোগ দিতে গতকাল দুপুরে কোলকাতা থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান সুব্রত। বিকালে গোপীবাগস্থ ক্লাব প্যাভিলিয়নে খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। এসময় মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন এই ভারতীয়। গত মৌসুমে কোলকাতা মোহামেডানের কোচ ছিলেন সুব্রত। অভিজ্ঞ এই কোচ এর আগে নাগাল্যান্ড স্টেট দল, আসাম স্টেট দল, ওয়েল ইন্ডিয়া এফসি, ভাস্কো স্পোর্টস ক্লাব, মুম্বাই এফসি, সাউদার্ন সমিতির মতো দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ভারতে অভিজ্ঞ হলেও, ভারতের বাইরে কোচ হিসেবে অনভিজ্ঞই বলতে হবে সুব্রতকে। তাই ব্রাদার্সে যোগ দেয়াটা অভিজ্ঞতা অর্জনের সিঁড়ি বলেই মনে করেন তিনি। এই ক্লাবের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন হবে এবং যেটা তার কোচিং ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করবে বিশ্বাস সুব্রতের। ব্রাদার্স এবার ভালোমানের দল গড়তে পারেনি সেটা জেনে খুব যে অবাক হয়েছেন সুব্রত তা নয়। বরং তারুণ্য নির্ভর দলটিকে নিয়েই চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত বলেছেন তিনি।
১৩ মে ফেডারেশন কাপ দিয়ে শুরু হবে দেশের ফুটবলের নতুন মৌসুম। আর এ টুর্নামেন্ট দিয়ে শুধু ব্রাদার্সে নয়, বাংলাদেশ ফুটবলে নিজের যাত্রা শুরু করবেন ৫২ বছর বয়সী এএফসি ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ সুব্রত। তরুণ এবং অনভিজ্ঞ কিছু খেলোয়াড় নিয়ে এবার সাদামাটা দল গড়েছে ব্রাদার্স। দলটি পরখ করার সময়-সুযোগ পাননি সুব্রত। যে দলটি পেয়েছেন তাদের নিয়েই ভালো কিছুর লক্ষ্য সুব্রতের। গেল মৌসুম লিগে চতুর্থস্থানে থেকে শেষ করেছে ব্রাদার্স। এবার এক ধাপ উন্নতির লক্ষ্য নতুন কোচের।
আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ব্রাদার্স-মোহামেডান মুখোমুখী হবে। ফেডারেশন কাপেও হয় তো একে অন্যের প্রতিপক্ষ হতে পারে। সেখানে নিশ্চয়ই লড়াইটা দু’দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, অলিখিত লড়াই হবে কোলকাতার দুই কোচ নাঈমুদ্দিন-সুব্রতের মধ্যেও। সে সময় ব্রাদার্স যদি মোহামেডানকে হারায় সেই হার শিরোপা জয় সমতুল্য হবে কিনা- এমন প্রশ্নে সুব্রত বলেন, ‘নাঈমুদ্দিন ভাই অনেক বড় মাপের কোচ। আমি নিজে তার অধীনে খেলেছি। কিন্তু মাঠে প্রতিপক্ষ ডাগআউটে যেই থাকুক তাকে এতটুকু ছাড় দেয়া হবে না। সেটা নাঈমুদ্দিন ভাই হলেও নয়।’
নতুন মৌসুমের জন্যই সুব্রতকে নিয়োগ দিয়েছে ব্রাদার্স। তবে দল প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স না পেলে মৌসুম শেষের আগেই হয়তো তার বিদায়ঘণ্টা বেজে যেতে পারে। তেতো এ কথাটি কোচের মুখের ওপরই বলে দিয়েছেন ব্রাদার্স ম্যানেজার আমের খান। তবে ফেডারেশন কাপের পারফরম্যান্স যে মূল্যায়িত হবে না সেটাও পরিস্কার করে দিয়েছেন তিনি।
সুব্রত বাংলাদেশে প্রথমবার কোচিং করাতে আসলেও এদেশের ফুটবল সম্পর্কে জানাশোনা তার দীর্ঘদিনের। আসলাম, মোনেম মুন্না, রুমি, গাউসের বিপক্ষে সেই আশির দশকে খেলার স্মৃতি এখনো সমুজ্বল তার। খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানার পর গত ২০১৫ সালেও বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে কলকাতা মোহামেডানের কোচ হিসেবে এদেশে এসেছিলেন সুব্রত। সে সময় বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবল সম্পর্কে অল্পবিস্তর ধারণা নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই আলোকেই কাল তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তবে জাতীয় দলে কিছু থাকলেও থাকতে পারে। তবে বাংলাদেশে ক্লাব ফুটবল যেভাবে চর্চা হয় সেটা অব্যাহত থাকলে আমার ধারণা ভারত যেমন আজ র‌্যাংকিংয়ে শ’তের ঘরে এসেছে, বাংলাদেশেরও আসতে সময় লাগবে না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ