Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছুটছে গাজীর জয়রথ

প্রিমিয়ার ক্রিকেটে বৃষ্টির হানা

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে একমাত্র দল হিসেবে জয়ের ধারা অক্ষুন্ন রেখে চলেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। আট ম্যাচের সবকটিতেই জিতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও তারা। ছয় জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরে আবাহনী লিমিটেড। বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে গতকাল শেখ জামালকে ২৪ রানে হারায় গাজী। অষ্টম রাউন্ডের বাকি দুই ম্যাচেও গতকাল ছিল বৃষ্টির হানা। এক্ষেত্রেও ফল নির্ধারিত হয় বৃষ্টি আইনে। পরে ব্যাট করা দলগুলো এদিন সহজ জয় পায়।
কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ১৭ রানে হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। পঞ্চম জয়ে লিগ থেকে অবনমনের শঙ্কা থেকেও অনেকটা মুক্ত ব্রাদার্স। বিপরীতক্রমে সপ্তম পরাজয়ে লিগ থেকে অবনমন প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে কলাবাগানের। আর পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৩৭ রানের জয়ে সুপার সিক্সে খেলার সম্ভবনা টিকিয়ে রেখেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। লিগে এটি তাদের ষষ্ঠ জয়। আর সপ্তম পরাজয়ে কপাল পুড়েছে পারটেক্সের।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে গাজী গ্রæপের বিপক্ষে নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩২ রান সংগ্রহ করে শেখ জামাল। রাজিন সালেহর দলের শীর্ষ সাত ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক স্পর্শ করলেও ইনিংস টেনে লম্বা করতে পারেন কেবল তানবির হায়দার। সর্বোচ্চ ৫৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। গাজীর কোন বোলারই উইকেটশূন্য থাকেননি। সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার ও মেহেদী হাসান।
জবাবে ২০.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে গাজীর সংগ্রহ যখন ১১৪ তখনই আসে প্রকৃতির হানা। বৃষ্টি আইনে নাদীফ চৌধুরীর দল তখন ২৪ রানে এগিয়ে। পরে আর খেলা না হওয়ায় ২৪ রানেই জয়ী ঘোষণা করা হয় গাজী গ্রæপকে। জহুরুল ইসলাম ব্যক্তিগত ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন, ৪৫ বলে ৪৬ রানে আউট হন টেস্ট স্পেশালিষ্ট মুমিনুল হক।
পাশের মাঠে নির্ধারিত ৪৩ ওভারের ৪ বল আগেই ১৭১ রানে গুটিয়ে যায় কলাবাগান। তুষার ইমরানের দলের হয়ে কোন ব্যাটসম্যানই ত্রিশোর্ধো ইনিংস গড়তে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন মেহরব হোসেন জুনিয়র ও মুক্তার আলী। জবাবে ব্রাদার্সের সংগ্রহ ২২.২ ওভারে ২ উইকেটে ৮২ রানের সময় আসে বৃষ্টির বাগড়া। জিততে হলে তখন তাদের করতে হতো ৬৬ রান। ফলে ১৭ রানের সহজ জয় পায় অলক কাপালীর দল। কলাবাগানের সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩১ রান করে ম্যাচসেরা হন ভারতীয় রিক্রুট মানভিন্দার বিসলা।
ফতুল্লায় অবশ্য বৃষ্টির বাগড়ার আগেই ৪৬.২ ওভারে ১৯২ রানে গুটিয়ে যায় পারটেক্স। জবাবে বৃষ্টির বাধার খেলা বন্ধ হওয়ার আগে কোন উইকেট না হারিয়েই ২৪ ওভারে ১১৪ রান তুলে ফেলে প্রাইম ব্যাংক। জিততে হলে তখন তাদের করতে হতো ৭৮ রান। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মেহেদী মারুফ ও জাকির হাসান করেন যথাক্রমে ৫২ ও ৫৫ রান করে।
অথচ প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা পারটেক্সের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। চতুর্দশ ওভারে জতিন সাক্সনা আউট হয়ার আগে ৭৮ রান তুলে ফেলে ইরফান সাক্কুরের দল। ২৮ ওভারেও তাদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১৪৬। জনি তালুকদার ফিরতেই পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। জনির ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬৯ রান। পরে বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মেনে নিতে হয় পরাজয়ের মাল্য। নাজমুল ইসলাম নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।


স ং ক্ষি প্ত স্কো র
পারটেক্স- প্রাইম ব্যাংক
পারটেক্স : ৪৬.২ ওভারে ১৯২ (জনি ৬৯, যতিন ৪০, সাজ্জাদ ৪, ইরফান ২৬, সাজ্জাদুল ০, জুবায়ের ৪, মাসুদ ২১, মাসুম ১৩*, রাজিবুল ৫, ইমরান ০, মামুন ০; আল আমিন ০/২৭, নাহিদ ১/৩৭, নাজমুল ৩/২৩, তাইবুর ১/১৬, আল আমিন জুনি. ১/৩৮, আরিফুল ১/১৫, আসিফ ২/৩৪)।
প্রাইম ব্যাংক : ২৪ ওভারে ১১৪/০ (মারুফ ৫২*, জাকির ৫৫*; মামুন ০/২২, মাসুম ০/২০, মাসুদ ০/১৬, রাজিবুল ০/৩০, ইমরান ০/১৬, যতিন ০/৮)।
ফল : ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে প্রাইম ব্যাংক ৩৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : জাকির হাসান।


কলাবাগান- ব্রাদার্স ইউনিয়ন
কলাবাগান : ৪২.২ ওভারে ১৭১ (মেহরাব জুনি. ২৮, জসিম ২৫, তাসামুল ৩, তুষার ৯, নাসিম ১৫, নুরুজ্জামান ২২, মুক্তার ২৮, হাসান ১০, সঞ্জিত ১০, রকিবুল ৮*, নাবিল ৪; সাদ্দাম ১/৪১, মাইশুকুর ০/১৪, নিহাদউজ্জামান ২/২২, সাজ্জাদ ১/১২, কাপালী ১/২৭, বিসলা ৩/২৩, কামরুল ০/৩১)।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন : ২২.২ ওভারে ৮২/১ (মিজানুর ১১, জুনায়েদ ৩৮*, বিসলা ৩১*; হাসান ১/২৫, তুষার ০/৬, নাবিল ০/৪, সঞ্জিত ০/৯, রকিবুল ০/১৩, নাসিম ০/১৫)।
ফল : ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : মানভিন্দর বিসলা


শেখ জামাল-গাজী গ্রæপ
শেখ জামাল : ৪৩ ওভারে ২৩২/৯ (মাহমুদ ৩৮, আল মামুন ২৩, প্রশান্ত ৩৫, তানবীর ৫৭, রাজিন ১৬, জিয়া ২০, সোহাগ ২১, সানি ৮, মাহমুদুল ৭*, শাহাদাত ০, শাকিল ০*; হায়দার ২/৪৭, হোসেন ১/২৯, মেহেদী ২/৩৬, শুভ ১/৪৩, শাহজাদা ১/১৪, রসুল ১/৬২)।
গাজী গ্রæপ : ২০.৫ ওভারে ১১৪/২ (এনামুল ১২, জহুরুল ৪৯*, মুমিনুল ৪৬, শুভ ৫*; শাহাদাত ০/১৮, সোহাগ ১/২১, সানি ০/১৬, জিয়া ০/১৫, মাহমুদ ০/২৫, তানবীর ১/১৭)।
ফল : ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে গাজী গ্রæপ ২৪ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : জহুরুল ইসলাম।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ