Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জঙ্গি গ্রুপকে দমন না করলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালানো হবে ইরান

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দি নিউ আরব : ইরান পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসলামাবাদ যদি তার দেশের অভ্যন্তরে তেহরান বিরোধী জঙ্গি গ্রুপগুলোকে দমন না করে তাহলে সে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাবে। ইরানের এ হুঁশিয়ারি পাকিস্তান-ইরানের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশংকা সষ্টি করেছে।  
এ সপ্তাহে পাকিস্তান সীমান্তে সুন্নি জঙ্গি গ্রুপ জয়শ আল-আদল জঙ্গিদের হামলায় ১০ জন ইরানি রক্ষী নিহত হওয়ার পর ইরানের সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন বাঘেরি এ হুঁশিয়ারি দেন। তিনি এক টেলিভিশন ভাষণে পাকিস্তানকে সেদেশে ইরান বিরোধী জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান তার সীমান্ত নিরাপত্তা কঠোর না করলে তেহরান সামরিকভাবে তার জবাব দিতে বাধ্য হবে। ফারস বার্তা সংস্থা জানায়, জেনারেল বাঘেরি বলেন যে আমরা আশা করি যে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং তাদের ঘাঁটি বন্ধ করে দেবে। যদি সন্ত্রাসীদের হামলা অব্যাহত থাকে তাহলে আমরা তাদের নিরাপদ আশ্রয় ও ঘাঁটিগুলোতে আঘাত হানব সেগুলো যেখানেই থাক না কেন।
জয়শ আল-আদল ইরানের সিস্তান-বালুুচিস্তান প্রদেশের স্বাধীনতা চায়। তারা পাকিস্তানের অভ্যন্তর থেকে দূর পাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করে ইরানি সৈন্যদের হত্যা করেছে বলে ইরান দাবি করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জারাদ জারিফ গত সপ্তাহে পাকিস্তান সফর করেন। তিনি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহŸান জানান।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানের সেনা প্রধানের এ হুঁশিয়ারি পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশংকা সৃষ্টি করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে ইরান বিরোধী জঙ্গি তৎপরতাকে কেন্দ্র করে তেহরান ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্কে তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে।
২০১৪ সালে পাকিস্তান ভিত্তিক ইরান বিরোধী জঙ্গিরা ৫ জন ইরানি সীমান্ত রক্ষীকে অপহরণ করে। ইরান তখন তাদের উদ্ধার করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দেয়। তবে জঙ্গিরা ৪ জন জঙ্গিকে ফিরিয়ে দেয়ায় আন্তঃ সীমান্ত সংঘাত পরিহার করা সম্ভব হয়। অপহৃত রক্ষীদের একজন নিহত হয়।
ইরান গত বছর জয়শ আল-আদলের এক সন্ত্রাসী পরিকল্পনা উদঘাটন করার দাবি করে।
২০১৩ সালে একটি স্বল্প পরিচিত জঙ্গি গ্রæপ এক হামলায় ১৬ জন ইরানি সীমান্ত রক্ষীকে হত্যা করে।
এদিকে পাকিস্তান এ সপ্তাহে প্রতিবেশী আফগানিস্তানের সাথে এক সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৮ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়।
অন্যদিকে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সাথে পাকিস্তানের সীমান্ত সংঘর্ষ নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। ভারত জঙ্গিদের আশ্রয় দানের জন্য পাকিস্তানেেক অভিযুক্ত করে আসছে যাদের হামলার লক্ষ্য হচ্ছে ভারতীয় সৈন্যরা।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন যে ইরান পাকিস্তানের শিয়া গ্রæপগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার কারণে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা যায়, ইরান পাকিস্তানি শিয়াদের নিয়ে জয়নাবিয়ন ব্রিগেড নামে যে ব্রিগেড গঠন করেছে তা পরিচালনা করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড।  এ ব্রিগেডের সদস্যরা তেহরান সমর্থিত আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান ও লেবাননের শিয়া জঙ্গিদের সাথে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারকে সহায়তা করছে। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জঙ্গি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ