Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিএম বীজের পক্ষে ভারত সরকার

আয়োগের সুপারিশের বিরোধিতা করেছে আরএসএসের একটি মঞ্চ

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : এখন পর্যন্ত বিতর্কিত জেনেটিক্যালি মোডিফাইড (জিএম) খাদ্যশস্যের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণের বিষয়টি সতর্কভাবে বিবেচনা করছে ভারত সরকার। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত নীতি আয়োগ দেশের নিশ্চিত কৃষি প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি তুলে ধরে ট্রান্সজেনিক বীজ নির্বাচনের জন্য সুপারিশ করেছে। এক্ষেত্রে নীতি আয়োগ সেসব বৈচিত্র্যের ব্যবহারের সুপারিশ করেছে, যেগুলো ভারতীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কোম্পানি বিকশিত করেছে। তবে আয়োগের সুপারিশের বিরোধিতা করেছে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত একটি মঞ্চ। স¤প্রতি প্রকাশিত ত্রিবার্ষিক (২০১৭-২০২০) কর্মপরিকল্পনায় আয়োগ জানিয়েছে, গত এক থেকে দুই দশকের মধ্যে উচ্চ উৎপাদনশীলতা, উন্নত গুণগত মান; সার, আগাছা নিধক ও কীটনাশকের স্বল্প ব্যবহারের প্রতিশ্রæতি নিয়ে জিএম বীজ একটি শক্তিশালী নতুন প্রযুক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যে বিষয়টি আয়োগ তুলে ধরেছে তা হলো, সারা বিশ্বের কৃষকের মধ্যে জিএম বীজের স্বীকৃতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের মতে, ভারতীয় কৃষকদেরও যেখানে সরকারের অনুমতি রয়েছে সেক্ষেত্রে এ ধরনের বীজকে উৎ্সাহের সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত। ভারতে কেবল তুলা বীজের ক্ষেত্রে জিএম বীজ ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। তবে নীতি আয়োগের এ পর্যবেক্ষণের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) অর্থনৈতিক নীতিবিষয়ক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ (এসজেএম)। স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের জাতীয় যুগ্ম আহŸায়ক অশ্বিনী মহাজন জানান, কৃষকরা বিটি তুলাবীজ উত্সাহের সঙ্গে গ্রহণ করেছে এটা বলা ভুল হবে। বরং বহুজাতিক কোম্পানিগুলো (এমএনসি) একচেটিয়া অবস্থা সৃষ্টি করে কৃষকদের এ বীজ ব্যবহারে বাধ্য করেছে। মহাজন জানান, এক্ষেত্রে বরং বলা যায়, ভারতীয় কৃষকদের আত্মহত্যা প্রবণতার পেছনে দায়ী এ বিটি তুলাবীজ। এ বিষয়গুলো বিবেচনা না করে নীতি আয়োগের জিএম বীজের পক্ষাবলম্বনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মহাজন। নীতি আয়োগও আশঙ্কা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছে, এমএনসিগুলোর জিএম বীজ নিয়ে একচেটিয়াত্বের ফলে কৃষকরা শোষিত হতে পারে। আয়োগের মতে, এ কারণে জিএম বীজের ক্ষেত্রে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির উদ্ভাবিত বৈচিত্র্যগুলোর ব্যবহার সীমিত করে দিলে এ আশঙ্কা কমিয়ে আনা যায়। এদিকে জিএম বীজ নিয়ে আয়োগের পক্ষাবলম্বনের বিরোধিতা করে এসজেএম থিঙ্ক-ট্যাঙ্কটির বিরুদ্ধে এমএনসিগুলোর স্বার্থে কাজ করার অভিযোগ এনেছে। টিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ