নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : চাতুরঙ্গা ডি সিলভার বিধ্বংসী ব্যাটিং আর আব্দুল মজিদের শতকের পর আরাফাত সানির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। দুইয়ে মিলে ১১৯ রানের বড় জয় পেয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। ফলে হারের বৃত্ত থেকে বেরুনো হল না ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের।
চলতি আসরে শেষ হয়েছে অষ্টম রাউন্ডের খেলা। এর সবকটিতেই হেরেছে ভিক্টোরিয়অ। ওদিকে পঞ্চম জয়ে সুপার লিগে খেলার সম্ভাবনা আরেকটু উজ্জ্বল করেছে দোলেশ্বর।
লিটন-নাজমুলদের সাথে তাল মিলিয়েই পাশের তিন নম্বর মাঠে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দোলেশ্বর। ৬ উইকেটে তারা গড়ে ৩৩৯ রানের বড় সংগ্রহ। জবাবে ৪৫ ওভার ৫ বলে ২২০ রানে অলআউট হয়ে যায় ভিক্টোরিয়া। বড় লক্ষ্য তাড়ায় কখনওই জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেননি দলটি। দ্বিতীয় ওভারেই বোলিংয়ে এসেই আঘাত হানেন বাঁহাতি স্পিনার সানি। তার দারুণ বোলিংয়ে ৩৯ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে ভিক্টোরিয়া। সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। শফিউল হায়াত ও মইনুল ইসলামের ব্যাটে খানিকটা প্রতিরোধের ইঙ্গিত মিললেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ঠ ছিল না। ৬৫ বলে ৫টি চার আর তিনটি ছক্কায় ৬৬ রান করে ফিরেন শফিউল। মইনুল বিদায় নেন ৬৪ রানে। দুই জনের বিদায়ের পর বেশিদূর এগোয়নি ভিক্টোরিয়ার ইনিংস। ৫৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে দোলেশ্বরের সেরা বোলার সানি। ২২ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত লিগের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীও তিনি।
এর আগে নিজের পুরানো ক্লাব ভিক্টোরিয়াকে বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেন মজিদ। প্রথম তিন উইকেটে এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান উপহার দেন তিনটি পঞ্চাশোর্ধো রানের জুটি। প্রখমে ইমতিয়াজ হোসেনের সঙ্গে ৭২, এরপর শাহরিয়ার নাফীসের সঙ্গে ৯১ এবং মার্শাল আইয়ুবের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়েন ম্যাচসেরা মজিদ। দোলেশ্বরও পেয়ে যায় বড় সংগ্রহের ভিত। মাহবুবুল আলমের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ডানহাতি ব্যাটসম্যান খেলেন ১১৪ বল ৭টি চার ও ৫ ছক্কায় ১১৬ রানের ইনিংস।
শুরুর সুবিধা কাজে লাগিয়ে শেষ দিকে ক্রিজে ঝড় তোলেন চাতুরঙ্গা ও শরিফউল্লাহ। দু’জনে ৬.৩ ওভারে তোলেন ৮৭ রান। ২১ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানো লঙ্কান অলরাউন্ডার চতুরঙ্গ ফিরেন ২৫ বলে ৪টি ছক্কা আর ৬টি চারে ৬৪ রান করে। শরিফউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে দুটি করে ছক্কা-চারে ২৫ বলে অপরাজিত ৩৯ রান।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে দিনের অপর ম্যাচে ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকায় আহমরি সংগ্রহ গড়তে পারেনি লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। তবে বোলারদের দলীয় আক্রমণে সেই রানই পেরুনো অসম্ভব হয়ে পড়ে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির কাছে। সুপার সিক্সে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকা দুই দলের লড়াইয়ে ২৮ রানে জিতেছে রূপগঞ্জ। আট ম্যাচে এটা তাদের পঞ্চম জয় আর খেলাঘরের পঞ্চম হার।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতে ২৩৯ রানে গুটিয়ে যায় রূপগঞ্জ। হাসানুজ্জামানের ঝড়ো ৩৬ রানে ভর করে ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও ১০৫ রানের মধ্যে শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চুপসে পড়ে রুপগঞ্জ। ষষ্ঠ উইকেটে রাজার সঙ্গে ৯৪ রানের জুটিতে পরিস্থিতি সামাল দেন ম্যাচ সেরা ইয়াসির আলী চৌধুরী। রাজা ৪৬ রান করে ফিরলে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটিতে দলকে চ্যলেঞ্জিং সংগ্রহের আভাস দেন ইয়াসির। কিন্তু মাত্র ৫ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ১ বল বাকি থাকতে ২৩৯ রানে গুটিয়ে যায় রূপগঞ্জ। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ইয়াসির চারটি চারে ৬৯ বলে করেন ৫৯ রান। খেলাঘরের তানভির ইসলাম ৫২ রানের নেন ৩ উইকেট।
জবাবে ষষ্ঠ উইকেট পর্যন্তও টিকে ছিল খেলাঘরের জয়ের আশা। সালাউদ্দিন পাপ্পুর ২৭ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কায় ৩৮ এবং নাজমুল সাদাত ও নাজিমুদ্দিনের দুই অর্ধশতকের পরও ৪৮.১ ওভারে ২১১ রানে থেমে যায় খেলাঘরের ইনিংস। রূপগঞ্জের নাঈম, মোশাররফ হোসেন, মোহাম্মদ শরিফ ও রাজা আলি দার প্রত্যেকেই নেন দুটি করে উইকেট। স ং ক্ষি প্ত স্কো র
প্রাইম দোলেশ্বর-ভিক্টোরিয়া
প্রাইম দোলেশ্বর : ৫০ ওভারে ৩৩৯/৬ (ইমতিয়াজ ৩৬, মজিদ ১১৬, শাহরিয়ার ৩৪, মার্শাল ২৪, চতুরঙ্গ ৬৪, শরিফউল্লা ৩৯*, এনামুল ১৩, হাবিবুর ০*; মাহবুবুল ২/৫৮, আশিক ০/৫০, মইনুল ১/৮০, রুবেল ০/৩২, আরাফাত সানি জুনিয়র ২/৪৮, সালেহীন ১/৫৩, মস্তাকিম ০/১৩)।
ভিক্টোরিয়া : ৪৫.৫ ওভারে ২২০ (রুবেল ৫, আরাফাত সানি জুনিয়র ২৮, ফারুক ৪, উত্তম ০, শফিউল ৬৬, মইনুল ৬৪, আশিক ১, মুস্তাকিম ৭, মাহবুবুল অনিক ৫, মাহবুবুল ২৪, সালেহীন ১২; রেজা ০/২, সানি ৬/৫৬, এনামুল ১/৩২, হাবিবুর ০/৩৯, চুতরঙ্গ ১/৪৬, শরিফ ০/৪, মার্শাল ১/২১)।
ফল : প্রাইম দোলেশ্বর ১১৯ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : আব্দুল মজিদ।
রূপগঞ্জ-খেলাঘর
রূপগঞ্জ : ৪৯.৫ ওভারে ২৩৯ (হাসানুজ্জামান ৩৬, পিনাক ১২, হামিদুল ২৪, মোশাররফ ২২, নাঈম ৯, রাজা ৪৬, ইয়াসির ৫৯, মাহমুদুল ১৮, শরিফ ০, সাব্বির ৪*, আসিফ ০; তানভির ৩/৫৪, রনদিভ ১/৪৫, রবি ১/৪৮, সাদাত ০/২৭, ডলার ২/৩৫, মাসুম ১/১৫, রেজাউল ০/১৪)।
খেলাঘর : ৪৮.১ ওভারে ২১১ (রবি ০, সালাউদ্দিন ৩৮, সাদাত ৫২, অমিত ১, নাজিম ৫৯, নাফিস ৬, রেজাউল ১৬, মাসুম ১৩, রনদিভ ১, ডলার ১২*, তানভির ২; শরিফ ২/৪৭, রাজা ২/৬৩, মোশাররফ ২/২৭, মাহমুদুল ১/১৫, আসিফ ০/৩৩, নাঈম ২/১৬, সাব্বির ০/৮)।
ফল : রূপগঞ্জ ২৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ইয়াসির আলী চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।